দক্ষিণ কলকাতায় ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকায় জলের লাইনে ছিদ্র! সংখ্যা জানলে চমকে যাবেন
কলকাতা পুরসভার তদন্তকারী দল জল সরবরাহকারী লাইনে কমপক্ষে ১৬ টি ছিদ্র খুঁজে পেয়েছে। অনুমান এই ছিদ্র দিয়েই দূষিত জল মিশছে পানীয় জলের লাইনে। আরও ছিদ্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলকাতা পুরসভার তদন্তকারী দল জল সরবরাহকারী লাইনে কমপক্ষে ১৬ টি ছিদ্র খুঁজে পেয়েছে। অনুমান এই ছিদ্র দিয়েই দূষিত জল মিশছে পানীয় জলের লাইনে। আরও ছিদ্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দক্ষিণ
কলকাতার
একটি
বিস্তৃীর্ণ
অংশে
ডায়রিয়া
মহামারি
আকার
নিয়েছে।
ইতি
মধ্যে
বছর
৩৩-এর
এক
যুবকের
মৃত্যুর
খবরও
মিলেছে।
অনেকেই
বলছেন
দশকের
পর
দশক
এলাকায়
এই
ধরনের
ঘটনা
ঘটেনি।
পাণীয়
জলে
দূষিত
জল
মেশার
অভিযোগ
উঠলেও,
তা
প্রথমে
স্বীকার
করতে
চাননি
মেয়র
শোভন
চট্টোপাধ্যায়।
স্কুল
অফ
ট্রপিকাল
মেডিসিন-সহ
একাধিক
সংস্থা
পরীক্ষার
পর
পাণীয়
জলে
দূষিত
জল
মেশার
কথা
জানিয়ে
দেয়।
তবে ঘটনার পরেই তদন্ত শুরু করেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। বাইপাস এবং ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়া এলাকা-সহ আশপাশের এলাকায় পাণীয় জলের সরবরাহের লাইনে কমপক্ষে ১৬ টি ছিদ্র খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।
জল সরবরাহ দফতের আধিকারিকরা যে সব এলাকায় পাণীয় জলের লাইনে ছিদ্র খুঁজে পেয়েছেন সেই সব এলাকা হল কসবা, গরফা, মাদুরদহ, মুকুন্দপুর, সন্তোষপুর, যাদবপুর, বাঘাযতীন এবং পাটুলি। সোমবার থেকে ছিদ্র খোঁজার কাজ শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যই এই রিপোর্ট মেয়রের দফতরে জমা পড়েছে।
এইসব ছিদ্রগুলি খুব ছোট। রাস্তায় খোঁড়াখুড়ির ফলেই এই ধরনের ছিদ্র তৈরি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এই সব ছিদ্রগুলির জন্যই ডায়রিয়া মহামারি আকার নিয়েছে তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলেই বলছেন জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকরা। ডায়রিয়া সংক্রামিত এলাকায় মাটির নিচে পাণীয় জলের লাইন এবং পয়ঃপ্রণালীর লাইন কাছাকাছি থাকার জেরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান আধিকারিকদের। তবে তা যদি হয়, তাহলে বিষয়টি বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন তাঁরা। বেশ কিছু জায়গা পর্যবেক্ষণের পর এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যাবে, বলে জানানো হয়েছে।
ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম সন্তোষপুর সিক্সথ রোড এলাকা। এখানেই পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থার উন্নতিতে কাজ চলছে। রাস্তায় যেমন খোঁড়াখুড়ি হয়েছে, তেমনই রাস্তার ধারেই রাখা রয়েছে পাইপ। অন্যদিকে গরফা থানার কাছেই খালের ওপর দিয়ে পাণীয় জলের সরবরাহ লাইনের কাজ চলছে। এই জায়গা থেকে গরফা এবং হালতু এলাকায় ডায়রিয়া ছড়িয়েছে বলে অনুমান অনেকের।
তবে এলাকা জুড়ে আপাতত ১৬ টি ছিদ্র খুঁজে পেলেও, আরও ছিদ্রের খোঁজে কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, জলের মান প্রতিদিনই পরীক্ষা করা হয়। তার জেরেই এলাকায় পাঠানো হয় দফতরের কর্মীদের।