সংঘাত ভুলে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতেই রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে উপাচার্যরা, একাধিক বিষয়ে আলোচনা
সংঘাত ভুলে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতেই রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে উপাচার্যরা, একাধিক বিষয়ে আলোচনা
সংঘাতের ইতি! একেবারে রুলবুক মেনে রাজ্যের সমস্ত উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। একেবারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার এই বৈঠক হয়। যেখানে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। এর আগে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় একাধিকবার রাজ্যের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ডাকে কেউ সাড়া দেননি। দিনের শেষে খালির চেয়ারের ছবি টুইট করতে হয় রাজ্যপালকে।
অন্য ধরণের ছবিরই সাক্ষী থাকল রাজভবন
তবে আজ মঙ্গলবার অন্য ধরণের ছবিরই সাক্ষী থাকল রাজভবন। একেবারে নিয়ম মেনেই রাজভবন উচ্চ শিক্ষাদফতরকে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানায়। আর এরপরেই নিয়ম মেনে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উত্তর এবন্মগ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাই উপস্থিত রয়েছেন। বেলা ১১ টা থেকে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রায় কয়েক ঘন্টা কেটে গিয়েছে রাজ্যপালের সঙ্গে এই বৈঠক চলছে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগ সহ একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি সামনে এসেছে। এই অবস্থায় উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
টেলি-এডুকেশনের উপর বিশেষ গুরুত্ব
বলে রাখা প্রয়োজন, দীর্ঘ এই বৈঠকে একদিকে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হালহকিকতের খোঁজ নেন। পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দিষ্ট বিষয়েও উপাচার্য এবং রাজ্যপালের আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আয় কীভাবে আরও বাড়ানো সম্ভব তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি উপাচার্যদের টেলি-এডুকেশনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনাতে উঠে এসেছে বলেই খবর।
সমস্ত সৌজন্যতাই কি ফের ফিরবে?
বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে বলেছিলেন, উনি খুবই ভদ্র মানুষ। আশা করি আর কোনও সমস্যা হবে না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে বলেও আশা ব্যক্ত করেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আলোচনা কথা শোনা গিয়েছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মুখেও। সংঘাতের আবহ ভুলে সেই সৌজন্যের নজির দেখল রাজ্যের মানুষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে রাজ্যপাল থাকলেও সংঘাতের আবহে বিল এনে তা মুখ্যমন্ত্রীকে করা হয়। এমনকি উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন। জগদীপ ধনখড়ের আমলে রাজভবনকে এড়িয়েই তা নিয়োগ করত শিক্ষা দফতর। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত সৌজন্যতাই কি ফের ফিরবে? নজর রাজনৈতিকমহলের।
বিচারবিভাগে কেন্দ্র সরাসরি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে, স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল মমতার