যাদবপুরে প্রবেশিকা ফিরলেও ফিরবেন না উপাচার্য! পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশে নয়া জট
ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেষপর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রবেশিকা ফিরিয়ে আনছে। কিন্তু কর্মসমিতির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য।
ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেষপর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রবেশিকা ফিরিয়ে আনছে। কিন্তু কর্মসমিতির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য। তাই কর্মসমিতির বৈঠক শেষে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানানোর পরই পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতি কাজের উপযোগী নয়। এই অবস্থায় কাজ করা যায় না। কর্মসমিতির নেওয়া বৈঠকের সঙ্গেও আমি এবং সহ-উপাচার্য সহমত নন। আমরা রেজুলেশনের পার্টিও হইনি। আচার্য ফিরলেই আমরা তাঁর কাছে অব্যাহতি চাইব। ছাত্রছাত্রীদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা অনশন-আন্দোলন তুলে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের পরিবেশ ফিরিয়ে দিক।
তিনি সোমবারও অনশন মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমি বুঝতে পেরেছি, তোমরা আমাকে আর চাইছো না। আমাকে আর বেশিদিন তোমাদের সঙ্গে পাবেও না। তার একদিনের মধ্যেই তিনি এরপ্রকার তাঁর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন। কর্মসমিতির বৈঠকে প্রবেশিকা ফিরলেও তিনি যে আর ফিরবেন না, তা জানিয়ে দিলেন উপাচার্য। তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন সহ-উপাচার্যও।
এদিন
দীর্ঘ
বৈঠকের
পর
সিদ্ধান্ত
হল
প্রবেশিকা
ফের
ফিরিয়ে
আনা
হচ্ছে
যাদবপুর
বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই
সিদ্ধান্তের
ফলে
যাদবপুর
বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্রদের
দাবিতেই
সিলমোহর
দিল
কর্মসমিতি।
এদিন
কর্মসমিতির
বৈঠকে
সিংহভাগ
বিভাগীয়
প্রধান
প্রবেশিকার
পক্ষে
মত
দেন।
কলা
বিভাগের
ডিনও
মত
দেন
প্রবেশিকার
পক্ষে।
কিন্তু
ঐক্যমত্য
প্রদান
করেননি
উপাচার্য
ও
সহ-উপাচার্য।
তবে
সিংহভাগ
সদস্যের
সহমতে
গত
৪
জুলাই
নেওয়া
প্রবেশিকা
রদের
সিদ্ধান্ত
বাতিল
বলে
গণ্য
হয়।
[আরও পড়ুন:যাদবপুরে জয় হল ছাত্র আন্দোলনের, অচলাবস্থা কাটাতে অবশেষে ফিরল ঐতিহ্যের প্রবেশিকা]
২৭ জুনে নেওয়া কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়। কবে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা স্থির করতে অ্যাডমিশন কমিটি গঠন করা হয়েছে এদিন। ৫০-৫০ অনুপাতে ছাত্র ভর্তি নেওয়া হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
[আরও পড়ুন:মোদীর যাত্রাপথ মমতার ছবিতে ভরিয়ে তুলবে তৃণমূল, মিশন ২০১৯-এর টক্কর শুরু]