যাদবপুরে বিক্ষোভে অনড় ছাত্রছাত্রীরা! উপাচার্যের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে
নাকতলায় শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে কথা বললেন যাদবপুরের উপাচার্য এবং সহ উপাচার্য। আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না গেলেও, তাঁদের মধ্যে ভর্তি জটিলতা কাটাতে আলোচনা হয়েছে বলেই খবর।
নাকতলায় শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে কথা বললেন যাদবপুরের উপাচার্য এবং সহ উপাচার্য। আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না গেলেও, তাঁদের মধ্যে ভর্তি জটিলতা কাটাতে আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে উপাচার্যের যাওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বলা হচ্ছে উপাচার্য ঘেরাও মুক্ত। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা বলছেন, তাঁরা আন্দোলনে অনড় রয়েছেন। উপাচার্য তাঁদের বলেই সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন।
ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আপত্তি দীর্ঘদিনের। ফলে কর্তৃপক্ষের তরফে ছটি বিষয়ের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেও পিছিয়ে যেতে হয়। পরীক্ষা এবারের মতো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি মেনে নিতে নারাজ ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, যাদবপুরের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখতেই প্রবেশিকা পরীক্ষার বন্দোবস্ত রাখতে হবে।
একইসঙ্গে উপাচার্যের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিক্ষাবিদদের অনেকেই যাদবপুরের বর্তমান অবস্থাকে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা বলেই বর্ণনা করেছেন। একইসঙ্গে উপাচার্যের শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার ঘটনারও সমালোচনা করেছেন তাঁরা। শিক্ষাবিদদের অনেকেই স্মরণ করতে পারছেনা না ৩৪ বছরের বাম আমলে কবে কোনও উপাচার্য শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কোনও কোনও মহল থেকে এত প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, উপাচার্য কেন আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন না।
২০১১-য় ক্ষমতায় আসার আগে শিক্ষাকে রাজনীতি মুক্ত করার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা তো হয়ইনি, বরং দলীয় নিয়ন্ত্রণ আরও চেঁপে বসেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর। ফলে সমাস্যার সমাধানে আগে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন বাম আমলে উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হওয়া সুরঞ্জন দাস।