গিরিজা দেবীর প্রয়াণে অশ্রুসজল স্মৃতিচারণায় উস্তাদ আমজাদ আলি খান
গিরিজা দেবীর প্রয়াণে স্মৃতিচারণ করলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সরোদবাদক উস্তাদ আমজাদ আলি খান।
এক ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য আর এক কিংবদন্তি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞের। গিরিজা দেবীর প্রয়াণে স্মৃতিচারণ করলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সরোদবাদক উস্তাদ আমজাদ আলি খান। দুজনেই ধ্রুপদী ঘরানার ভার বহন করেছেন। দুজনেই দেশকে নানা স্তরে সম্মান এনে দিয়েছেন। এক মহীরুহের প্রয়াণে অন্যজন স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন। এদিন স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে গিরিজা দেবীর সঙ্গে ছবি ও লেখা দিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি।
সেনিয়া ও বেনারস ঘরানার শিল্পী ছিলেন গিরিজা দেবী। ১৯২৯ সালের ৮ মে বারাণসীতে জন্ম গিরিজা দেবীর। বেশ কিছুদিন ধরেই বয়সজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই সকালে সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপরে রাত সাড়ে আটটার পরে প্রয়াত হন এই বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী।
নিজের ফেসবুক পেজে উস্তাদজী লিখেছেন, বারাণসীর 'ঠুমরি কুইন' কিংবদন্তি ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবীর প্রয়াণে আমি গভীর শোকাহত। তাঁর প্রয়াণে ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের এক ঘরানার সমাপ্তি হল। আজ অনেক কথা মনে পড়ছে। গিরিজা দেবী আমাকে রাখি পড়াতেন। আমার বাবা উস্তাদ হাফিজ আলি খানের মেমোরিয়াল ফেস্টিভ্যালে বহুবার তিনি এসে গেয়ে গিয়েছেন।
শুধু কী তাই, আমি নিজে কলকাতায়, ব্রাসেলসে গিরিজা দেবীর সঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। ২০০৫ সালে একসঙ্গে অ্যালবাম রেকর্ড করেছি।
ঠুমরি গানকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন গিরিজা দেবী। ঠুমরির ছোঁয়া খুব স্নিগ্ধ হয়। মন ছুঁয়ে যায়। মনে হবে যেন কবিতার লাইন মনকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। শিল্পকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেলে তা আত্মাকে ছুঁয়ে যায়, সেখানে বিচরণ করতে পারতেন গিরিজা দেবী। নিজের ঘরানার শেষ শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। আমি ঈশ্বরের কাছে তাঁর আত্মার শান্তিকামনা করি। গিরিজা দেবীর সঙ্গীত অমর হোক।