বিধানসভায় প্রায় হাতাহাতি কংগ্রেস-তৃণমূলের, ওয়েলে নেমে পরিস্থিতি সামাল দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বিধানসভায় নজিরবিহীন গোলমাল। প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছল কংগ্রেস ও তৃণমূল বিধায়ক-মন্ত্রীদের কাজিয়া।
বিধানসভায় নজিরবিহীন গোলমাল। প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছল কংগ্রেস ও তৃণমূল বিধায়ক-মন্ত্রীদের কাজিয়া। কার্যত বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ সামাল দিলেন এবং দুই পক্ষকে শান্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস দলের মধ্যে একটি প্রশ্নকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলমাল হয়। একে অপরের দিকে তেড়ে যান দুই পক্ষ। অবস্থা সামাল দিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ওয়েলে নামতে হয়।
পরিবহণে অনিয়ম
ঘটনার সূত্রপাত একটি প্রশ্নকে কেন্দ্র করে। কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে পরিবহন দপ্তরে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি এও অভিযোগ জানান, টাকার বিনিময়ে এই নিয়োগ হচ্ছে। যার পাল্টা শুভেন্দু দাবি করেন, এমন কোনও ঘটনা হয়নি। এবং এই ঘটনা নিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তার প্রমাণ দিতে হবে। আর না হলে প্রতিমাদেবীকে বিধানসভায় ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি
এরপর আরও একধাপ এগিয়ে শুভেন্দু মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এমনিতেই দলে দলে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসছে। আর যে কজন বাকি আছে, তাঁরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দেবেন।
ক্ষেপে লাল কংগ্রেস
এই ঘটনাতেই ক্ষেপে যান মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস বিধায়কেরা। তাঁরা শুভেন্দুকে লক্ষ্য করে উত্তেজক মন্তব্য করতে শুরু করেন। এর মধ্যে খড়্গপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় একেবারে পিছন থেকে এগিয়ে আসেন। ঘটনা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। যা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বয়ং দুই পক্ষকে শান্ত করেন। এই ঘটনা যে বিধানসভার ইতিহাসে নজিরবিহীন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
[আরও পড়ুন: দেবশ্রীকে ঘিরে বিজেপিতে তুমুল কোন্দল, শোভন-জয়প্রকাশের মধ্যে কাজিয়া তুঙ্গে]
[আরও পড়ুন: অভিজাত সোফা সরিয়ে চেয়ার বসলেন মোদী! রাশিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘটনার কারণ জানেন ]