জিডি বিড়লা স্কুলে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার মেধাবী ছাত্রী! হাসপাতালে মৃত্যু, তদন্তে ফরেনসিক দল
দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলের ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। উদ্ধারের সময় ছাত্রীর হাতের শিরা ছিল কাটা। মুখ ঢাকা ছিল প্লাস্টিকে।
দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলের ছাত্রী কৃত্তিকা পালের অস্বাভাবিক মৃত্যু। উদ্ধারের সময় ছাত্রীর হাতের শিরা ছিল কাটা। মুখ ঢাকা ছিল প্লাস্টিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রীটিকে নিয়ে যাওয়া হয় যোধপুর পার্কের হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাথরুম থেকে ৩ পাতার একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১.৩৫ নাগাদ বাথরুমে যায় সে। ২.১০ নাগাদ খেয়াল পড়ায় শৌচাগের যান স্কুলের কর্মীরা। দরজা ভিতর থেকে আটকানো থাকায় বাইরের জানলা দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন স্কুলের কর্মীরা। দেখা যায় শৌচাগের মধ্যে পড়ে আছে স্কুলের অন্যতম মেধাবী ছাত্রীটি। দরজা ভেঙে ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হায়পাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
স্কুলের তরফে খবর পাওয়ার পরেই তিন আইপিএস অফিসার স্কুলে পৌঁছে যান। সন্ধের আগেই সেখানে চলে যায় ফরেনসিক দল। যায় লালবাজারের হোমিসাইড শাথা।
স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারা সেই সময় ডিউটিতে ছিলেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে সুইসাইড নোটটি পাওয়া গিয়েছে তা ওই ছাত্রীর কিনা খতিয়ে দেখতে ছাত্রীর লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, তিন পাতার সুইসাইড নোটে পরিবারিক অশান্তি ও হতাশার কথা উঠে এসেছে। লেখা রয়েছে ছোটবেলায় মেট্রোয় উঠতে সে ভয় পেত। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান তদন্তকারীদের।