সামান্য কথা কাটাকাটি! ১৫ মিনিটেই সব শেষ, আইনজীবী স্বামীর রহস্য-মৃত্যু নিয়ে প্রতিক্রিয়া স্ত্রীর
নিউটাউনে আইনজীবীর রহস্য মৃত্যু। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ছেলে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবীর বাবা। এক্ষেত্রে তাঁর অভিযোগের তির স্ত্রী ও শ্যালকের দিকে। ১৫ মিনিটের মধ্যেই ঘটেছে সব কিছু, দাবি
নিউটাউনে আইনজীবীর রহস্য মৃত্যু। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ছেলে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবীর বাবা। এক্ষেত্রে তাঁর অভিযোগের তির স্ত্রী ও শ্যালকের দিকে। ১৫ মিনিটের মধ্যেই ঘটেছে সব কিছু, দাবি স্ত্রীর। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ কী, তা জানানো সম্ভবপর হতে পারে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। শনিবার মাঝরাতে ঘটনাটি ঘটে।
বাবার অভিযোগ
ছেলের শ্যালক অভীক পাল রাত দুটোর সময় ফোন করে বলে, তাঁর ছেলে (আইনজীবী রজত দে) বিছানা থেকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। তাঁরা গিয়ে ছেলে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন আইনজীবীর বাবা। তাঁর দাবি, ছেলের বুকের ওপর চাপ দিয়েই হত্যা করা হয়েছে। এমনটাই নাকি ইঙ্গিত করেছেন চিকিৎসকরা।
অভিযোগ, পাশে ছিল না স্ত্রী
বিষ খাইয়েও তাঁর ছেলেকে মারা হতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন মৃত আইনজীবীর বাবা। কেননা তাঁর সারা দেহ নীল, এমনটাই দেখেছেন তাঁরা। হাসপাতালে দেহ নিয়ে যাওয়ার পরেও স্ত্রীর দেখা যাওয়ার যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে ছেলে।
স্ত্রীর দাবি
স্বামীকে ঘরের মধ্যে বজ্রাসনে হাত মুঠো করে বসে থাকতে দেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন মৃত আইনজীবীর স্ত্রী। তাঁকে নিয়ে ঝাঁকানো হলে তিনি এলিয়ে পড়েন। প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। রাত সাড়ে তিনটেয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ও শরীর গরম ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর দাবি শরীর নীল হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ফ্ল্যাটে তিনি ও তাঁর স্বামী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। ফলে বুকে চাপ দিয়ে বসার কেউই ছিল না।
পুরী যাওয়ার কথা ছিল শুক্রবার
দুজনের মধ্যে কোনও ঝগড়া হয়নি বলে দাবি করেছেন স্ত্রী। সামনের শুক্রবার তাঁদের পুরী যাওয়ার কথা ছিল। মিনিট ১৫- মধ্যে কী হয়ে গেল, তার সঠিক তদন্তের দাবি করেছেন স্ত্রী। তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। শ্বশুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে স্ত্রীর দাবি, স্বামীর সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল।
উত্তরের খোঁজে তদন্তকারীরা
সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও, বহু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ কী, তা জানানো সম্ভবপর হতে পারে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। আইনজীবীর ৩ টি মোবাইল ও ল্যাপটপ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
(ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)