বিয়ের ১৪ বছর পরেও পণের দাবি! খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
গৃহবধূকে মারধর করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরের রায়মোহন ব্যানার্জি লেনে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বরাহনগর থানার পুলিশ।
গৃহবধূকে মারধর করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরের রায়মোহন ব্যানার্জি লেনে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বরাহনগর থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। বধূর বাড়ির তরফে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বছর ১৪ আগে দীপা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল এলাকারই যুবক চন্দন দাসের। বিয়ের পর থেকেই চন্দন পণের দাবিতে মারধর করত বলে দাবি দীপার পরিবারের। দম্পতির ১২ বছরের এক ছেলেও রয়েছে। সোমবার সন্ধেয় সেই ছেলেই মামার বাড়িতে ফোন করে জানায় মা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপরেই সেখানে ছুটে যান দীপার বাড়ির সদস্যরা। দীপার ভাই জানিয়েছেন, পা ঠেকে ছিল মেঝেতে। গলায় দড়ি দিলে ঝুলল কী করে। ফলে তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দীপার বোন জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে পণের দাবিতে অত্যাচার করত পেশায় বাউন্সার চন্দন দাস। কোনও সময় এসির দাবি আবার কোনও সময় বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার দাবি করত বলে জানা গিয়েছে। চন্দনের অপর দুই ভাই তাদের শ্বশুর বাড়ির সম্পত্তি পাওয়ায় সেই লোভও ছিল চন্দনের। প্রতি নিয়ত মারধর করা হলেও তাঁর দিদি ঘটনা চাপা দিতে চাইত বলেই জানিয়েছেন দীপার বোন। গায়ে কিংবা মুখে কোনও আঘাতের দাগ থাকলেও, সেই ঘটনা সম্পর্কে সে কোনও কিছুই বলতে চাইত না বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।