ব্রিটেনের রানি থেকে বাংলার দুর্গা, মুকুট গড়ছেন বাংলার এই মেয়ে
বাংলার মূর্তি প্রত্যেক বছর যাচ্ছে বিদেশে। আর ইংল্যান্ডে তো প্রচুর মূর্তি প্রত্যেক বছর পারি দেয়। কিন্তু রানী এলিজাবেথের মাথার মুকুট যিনি তৈরি করেছেন সেই কখনও বাংলার দুর্গার মুকুট তৈরি করছেন এমন বাংলা - ইংল্যান্ড দুর্গোৎসবের মিলন কখনও দেখা যায়নি। এবার সেটাই হতে চলেছে।
বাংলার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মল্লিক। তিনি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ডিজাইনার। প্রজাপতি লাগানো একটি মুকুট ডিজাইন করেন রানী এলিজাবেথের জন্য। টুইট করেন। রয়াল বাটলার অর্থাৎ রানীর একান্ত সহযোগী প্রিয়াংকার টুইটে লাইক করেন। এরপর একাধিকবার বিলেতের রাজ পরিবারের সরকারি প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় বাংলার প্রিয়াঙ্কার। তার ডিজাইন করা প্রজাপতি বসানো মুকুটটি স্বয়ং রানীর পছন্দ হয়েছে বলে জানতে পারেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, " রানীর মুকুট ডিজাইন এপ্রুভ করেছেন। ওরা খুব শীঘ্রই হয়তো ওই ডিজাইনের মুকুটটি তার মাথায় দেখতে পাওয়া যাবে।"
এর মধ্যেই কলকাতার গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন এর কর্মকর্তারা ঠিক করে যে প্রিয়াঙ্কাকে দিয়েই দেবী দুর্গার মুকুট ডিজাইন করানো হবে। ক্লাবের "সম্পাদক মান্টা মিত্র বলেন, সর্বজনীন পুজো এবার বিশ্বজনীন । তাই ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বাংলার প্রতিভা এই মেয়েকেই এবার আমরা আমাদের পুজোর অঙ্গ করলাম।"
গৌরিবেরিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এবারের থিমের নাম 'কাকতাড়ুয়া'। গ্রাম বাংলাকে থিম করেই তৈরি হচ্ছে এই থিম। গড়ছেন বাপাই সেন। তিনি বলেছেন , 'যারা অন্নদাতা তাঁদেরকে নিয়ে আমরা খুব একটা ভাবিনি। আমরা মাঠে গেলেই দেখতে পাই কাকতাড়ুয়া। সেই কাকতাড়ুয়ার উপরেই কাক বসে। অর্থাৎ অন্নদাতাকে আমরা রক্ষা করতে পারছি না। সেখান থেকেই ভাবনায় আসে ওঁদের জন্য কিছু করবার।
সেই আমি জল ও বাতাসকে কাজে লাগাব। মন্ডপে একটি কাকতাড়ুয়া থেকে অপরটিতে জল এবং বাতাস বয়ে যাবে। এটা হবে সম্পূর্ণ ভাবে হবে বিদ্যুৎ ছাড়াই। জল ও হাওয়ায় মণ্ডপে নাচবে কাকতাড়ুয়া। অর্থাৎ এই সময় হল অন্নদাতাদের রেস্ট নেওয়ার সময়। কারণ মাঠের কাকতাড়ুয়ারা নাচে না তাই তাদেরকে কেউ ভয় পায় না। কিন্তু যখনই এই কাকতাড়ুয়া উঠবে , নামবে, তখনই যারা তাঁদের ক্ষতি করতে চাইছে তাঁরা ভয় পেয়ে যাবে। অন্নদাতারা পাবেন স্বস্তি। ঠিক এই বিষয়টাই আমরা পুজো মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলতে চাইছি। আমার মনে হয় এটা একটা অন্য ধরনের প্রেজেন্টেশন হতে চলেছে যেটা আগে কখনও কলকাতার মানুষ দুর্গাপুজোয় দেখেনি।"