হার না মানা উমার লড়াই! বরিষার পরিযায়ী দুর্গার পিছনে আসল শিল্প ভাবনার কথা শোনালেন রূপকার রিন্টু পাল
বেহালার পরিযায়ী দুর্গার পিছনে আসল শিল্প ভাবনার কথা শোনালেন রূপকার রিন্টু পাল
করোনা আবহে দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে নতুন নতুন চমক দিতে দেখা যাচ্ছে শহরের একাধিক নামজাদা পুজো কমিটিকে। ইতিমধ্যেই দর্শকবিহীন পুজোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজো কমিটি। অন্যদিকে এবার দুর্গা পুজোয় মহিলা পরিযায়ী শ্রমিকের আদলে প্রতিমা বানিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে বেহালার বড়িশা ক্লাব। এবার সেই প্রসঙ্গেই কথা বললেন থিম মেকার ও গোটা ভাবনার রূপকার রিন্টু দাস।
হার না মানা উমা মায়ের লড়াইকেই কুর্নিশ বরিষা ক্লাবের
মার্চের শেষার্ধে করোনা লকডাউনেই শুরুতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশার কথা দেখে গোটা দেশবাসী। তীব্র অর্থকষ্টের মাঝেও এই শ্রমজীবী মানুষদের হার না মানা লড়াইয়ে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা দেশ। এদিকে গত কয়েক মাসে কাজ হারিয়ে পথে বসেছে কয়েক কোটি পরিযায়ী শ্রমিক। এমনকী লকডাউনের মাঝে যান বাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে দেখা দেখা গেছে দেশীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান কারিগর তথা এই হার না মানা যোদ্ধাদের। এবার তাদের কুর্নিশ জানাতেই তাঁর মাথায় প্রথম এই থিম ভাবনা আসে বলে জানান রিন্টু দাস।
শুক্রবারই বরিষা ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে গত শুক্রবারই এই ক্লাবের এবছরের পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তারপর থেকেই নেট দুনিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল বরিষা ক্লাবের এই পরিযায়ী দুর্গা। সমসাময়িক বিষয় ও রেফারেন্স আর্টের যুগলবন্দীতে এই অনবদ্য শিল্পকর্ম সামনে এনেছেন কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি প্রতিমা শিল্পী পল্লব ভৌমিক।
পরিযায়ী শ্রমিকের ভূমিকায় দুর্গা
বরিষার এই পুজো মণ্ডপেই দেবী দুর্গাকে এখানে একজন পরিযায়ী শ্রমিক ও মায়ের ভূমিকায় কল্পনা করেছেন থিম মেকার রিন্টু দাস। শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে পিছনে ফিরে দর্শকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন উমা। দুদিকে দুই মেয়ে। অন্যদিকে পুরো মণ্ডপ জুড়ে ছড়িয়ে থাকবে ত্রাণের বস্তা। সেই সামান্য সাহায্যের দিকেই যেন হেঁটে যাওয়া দেবীর। হার না মানা উমা মায়ের লড়াইয়ের কথাই যেন এখানে বারবার বলতে চেয়েছে বরিষা ক্লাব।
কী বলছেন আর্ট ডাইরেক্টর রিন্টু পাল ?
এদিকে চিত্রশিল্পী বিকাশ ভট্টাচার্যের আঁকা একটি ছবির আদলেই হয়েছে মূলত মণ্ডপের সামগ্রিক সজ্জা। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আর্ট ডাইরেক্টর রিন্টু পাল বলেন, " কিছুদিন আগে যখনই টিভি খুলে বসতাম চোখের সামনে শুধুই পরিযায়ী শ্রমিকের দুঃখ-দুর্দশার কথা দেখতে পেতাম। শুধুই দেখতাম জল-খাদ্য ছাড়া ঘণ্টার পর হেঁটে চলেছে পরিযায়ীদের দল। আমি তখন থেকেই তাদের পুজো করতে চেয়েছিলাম।" যদিও করোনার কারণে এই বছরের পুজোর বাজেটে খানিক চাপ থাকায় গতবারের থেকে আমাকে ৫ গুণ কম টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু টাকার জন্য না আমি গোটা কাজটিকেই একটা নতুন চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। "
দিলীপের নেতৃত্বে মিছিলে বিজেপি সভাপতিকে টেস্টটিউব বেবি আখ্যা, গেরুয়া-কোন্দল তুঙ্গে