মর্মান্তিক, করোনার আতঙ্কে চিকিৎসা অমিল, মায়ের কোলেই মারা গেল একরত্তির ক্যান্সার রোগী
করোনা লকডাউনে চিকিৎসা না পেয়ে মর্মান্তির পরিণতি হল ২ বছরের ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর। পাকস্থলীকে ক্যান্সার ছিল তার। লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চিকিৎসা। হঠাৎকরে অবস্থার অবনতি হতে করে শিশুটি। কেমো থেরাপি না পেয়ে শেষে মায়ের কোলেই প্রাণ হারাল এক রত্তির ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু।

ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু
পাকস্থলীেত ক্যান্সার হয়েছিল ২ বছরের প্রিয়দর্শনীর। গত ডিসেম্বরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাকস্থলীকে টিউমার অপারেশন হয় তাঁর। তারপরে একমারই মাত্র কেমো পেয়েছিল শিশুটি। করোনা লকডাউনের কারণে সেসসব বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে গত কয়েকদিন ধরে। শিশুটির কেমো থেরাপি প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু
সন্তানকে বাঁচাতে শহরের একাধিক হাসপাতালে ঘুরেছেন শিশুটির বাবা বিশ্বজিৎ সাহা। সাইকেল ভ্যানে করে সন্তানকে নিয়ে তাঁরা একাধিক হাসপাতালে ঘুরেছেন। কিন্তু কোথাও চিকিৎসা েমলেনি বলে অভিযোগ। শেষে সাইকেল ভ্যানেল মধ্যেই মায়ের কোলে মারা যায় শিশুটি। শিশুটির বাবা জানিয়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজে গিয়ে বারবার কেমোর জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি।

চারটি হাসপাতালে ঘুরেও মেেলনি চিকিৎসা
বামনগাছির বাসিন্দা পেশায় ভ্যান চালক বিশ্বজিৎ সাহা জানিয়েছেন মেয়েকে বাঁচাতে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা শহরের চারটি হাসপাতাল ঘুরেছেন তিনি। বারাসত হাসপাতাল, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রিসার্চ সেন্টার, আর িজ কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বারাসত ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার। কিন্তু কোনও হাসপাতালেই চিকিৎসা পাননি তাঁরা। শেষে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সাইকেল ভ্যানেই মারা যায় ২ বছরের প্রিয়দর্শিনী।

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর
প্রিয়দর্শীনির মৃত্যুর খবরটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছয়। তিনি জানিয়েছেন ঘটনাটি দুঃখের। কোনও রোগীর এভাবে মৃত্যু কাম্য নয়। তবে রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক এবং নার্সরা যেভাবে কাজ করে চলেছেন তা প্রশংসনীয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই জোরাল ভূমিকম্প প্রতিবেশী দেশে, আতঙ্কে উত্তর ভারত