বিধাননগরে একই লাইনে দু’টি ট্রেন মুখোমুখি, অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
একই লাইনে দু’টি ট্রেন মুখোমুখি। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা। শুক্রবার বিধাননগর স্টেশনে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে রড়ে রেলযাত্রীদের মধ্যে।
কলকাতা, ৩১ মার্চ : একই লাইনে দু'টি ট্রেন মুখোমুখি। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা। শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ বিধাননগর স্টেশনে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে রড়ে রেলযাত্রীদের মধ্যে।
অভিযোগ, দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেও, চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হয় এদিন। একই লাইনে প্রায় ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন দু'টি। কোনও জরুরি ঘোষণা পর্যন্ত করা হয়নি। শিশু কোলে মাকে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে নামতে হয়।
ফারাক মাত্র ১০০ মিটারের। মুখোমুখি দু'টি ট্রেন এড়াল বড়সড় দুর্ঘটনা। ডাউন নৈহাটি-শিয়ালদহ লোকাল উল্টোডাঙা স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে ঢুকছিল। ওই একই ট্র্যাকে উল্টোদিক থেকে চলে আসে আপ হাসনাবাদ লোকাল। অবশেষ দুই তালকের তৎপরতায় রক্ষা পায় দুর্ঘটনা হাত থেকে। ১০০ মিটার দূরত্বে থেমে যায় দু'ট ট্রেন।
রেল সূত্র জানা গিয়েছে, কোনওভাবেই তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসার কথা নয় আপ হাসনাবাদ লোকালের। হয় এক নম্বর নতুবা দু'নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে আপ লোকালগুলি। হাসনাবাদ লোকালও ওই এক বা দুই প্ল্যাটফর্মে আসার কথা। এই ট্রেনচি তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে চলে যাওয়াতেই বিপত্তি ঘটে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, অটো সিগন্যালিং সিস্টেমে ট্রেনগুলি সিগন্যাল পায়। কিন্তু কী কারণে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে চলে এল তা নিয়ে রেলের তরফে তদন্ত করা হচ্ছে। কোনও সিগন্যালিলং সমস্যা হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দীর্ঘ ৪০ মিনিট ট্রেন দু'টি দাঁডিয়ে থাকার পর আপ হাসনাবাদ লোকাল পিছিয়ে অন্য লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ডাউন নৈহাটি লোকাল শিয়ালদহ অভিমুখে রওনা দেয়।