ফের গ্রেফতার ২ ড্রাগ পাচারকারী, টার্গেটে নাকি ছাত্রছাত্রীরা, কী বলছেন তদন্তকারীরা
কলকাতায় ফের মাদক-সহ গ্রেফতার দুই। গ্রেফতার করেছে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃতদের কাছ থেকে ক্যান্ডি, এস্টাসি উদ্ধার করা হয়েছে। এই মাদক কোথায় পাচারের চেষ্টা চলছিল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন আধিকারিক
কলকাতায় ফের মাদক-সহ গ্রেফতার দুই। গ্রেফতার করেছে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃতদের কাছ থেকে ক্যান্ডি ও এস্টাসি উদ্ধার করা হয়েছে। এই মাদক কোথায় পাচারের চেষ্টা চলছিল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। ধৃতরা বেশ কয়েকটি কলেজের নাম করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে ড্রাগ পাচারের তদন্তে নামে সিআইডি। অভিযানে নেমে তাঁরা দিন দুয়েক আগে নিখিল, হেনরি ও রবার্ট নামে তিন পাচারকারীকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। ধৃতদের মধ্যে নিখিল ডিজে পেশায় যুক্ত। ফলে তাঁর সঙ্গে নাইট ক্লাবের যোগাযোগ ছিল বলেই অনুমান। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হাসিস ও এলএসডি। বড়দিন ও নতুন বচরের পার্টির জন্য মাদক আনা হয়েছিল বলে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়। এর পরেই কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালাতে থাকেন সিআইডি ও নার্কোটিক কন্ট্রোলব্যুরোর অফিসাররা।
মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়, নিলয় ঘোষ এবং জেরমি ওয়াটসন নামে দুই ব্যক্তিকে। জেরমি পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজার বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে এলএসডি এবং এমডিএমএ ড্রাগ উদ্ধার করা হয়েছে। যা কলকাতায় পার্টিতে ব্যবহারের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল বলে অনুমান নার্কোটিক কন্ট্রোলব্যুরোর।
বিভিন্ন পার্টি ছাড়াও মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেট মূলত স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা। এমডিএমএ ক্যান্ডির মাধ্যমে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের মাদকাসক্ত করে তোলা হয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা একাধিক কলেজ কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম জানিয়েছে। এজেন্টদের মাধ্যমে মাদক লজেন্স বিক্রি করা হয় বলে জানিয়েছেন নার্কোটিক কন্ট্রোলব্যুরোর অাধিকারিকরা। ধৃতরা আইআইএইচএম সল্টলেকের নাম ছাড়াও সল্টলেকের টেকনো ইন্ডিয়ার নামও করেছে।
মাদক পাচারকারীরা কলকাতাকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশ থেকে মাদক আনা হয়। বিভিন্ন মেট্রো শহরের মতো যার চাহিদা রয়েছে কলকাতাতেও। আবার সামনেই রয়েছে বড়দিন এবং নতুন বছরের অনুষ্ঠান। সূত্রের খবর, এছাড়াও উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও মাদকের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।