পড়ে গিয়ে হাঁটুতে চোট, ভুল চিকিৎসায় দু’পা-ই অকেজো ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের!
পায়ের সামান্য চোট নিয়ে ভালো চিকিৎসার আশায় কলকাতায় এসেছিলেন বিহারের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র বিনয় ঝা।
কলকাতা, ২৫ মার্চ : পায়ের সামান্য চোট নিয়ে ভালো চিকিৎসার আশায় কলকাতায় এসেছিলেন বিহারের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র বিনয় ঝা। কলকাতার চিকিৎকদের 'কল্যাণে' দুই পা-ই খুইয়ে যুবক বিনয় এখন চলনশক্তিরহিত। ছেলের চিকিৎসায় সর্বস্বাস্ত হয়ে পরিবার এখন প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছে সুবিচারের আশায়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর গড়া স্বাস্থ্য কমিশনেরও দ্বারস্থ হয় পরিবার। তবে শুধু সাইনবোর্ড দেখেই ফিরে আসতে হয়েছে বিনয়ের পরিবারকে।[মৃত রোগী ভেন্টিলেশনে! বিল বাড়াতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে]
পাটনায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ল বিনয়। বয়স ১৮। বছর দুয়েক আগে বাঁ পায়ের হাঁটুতে সামান্য চোট লাগে তার। ভালো চিকিৎসাক জন্য বিনয়কে কাঁকুড়গাছিতে নিয়ে আসে পরিবার। কাঁকুড়গাছির একটি নার্সিংহোমে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। সেই প্রথম, এরপরও আরও ১০ বার অস্ত্রোপচার হয়েছে বিনয়ের পায়ে। কিন্তু চোট সারেনি। বেড়েছে সংক্রমণ। বাঁ-পা ছেড়ে ডান পায়েও ছড়িয়ে পড়ে তা। শেষমেশ একেবারে পঙ্গু বিনয়।
অভিযোগ, প্রথম অস্ত্রোপচারের পর পা থেকে পুঁজ বেরোত থাকেল অন্য একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে ফের অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। তারপরই সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়নি সে। এবার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বিনয়। সরকারি হাসপাতালে পাঁচবার অপারেশমের পরও নিট ফল শুন্য। বরং পরিস্থতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এবার গন্তব্য ভেলোর। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের রায়, কলকাতায় ভুল চিকিৎসা হয়েছে। বোন টিবির চিকিৎসা হওয়াতেই বিপত্তি।
ভেলোরেও এরপর চারবার অস্ত্রোপচার করা হয়, সংক্রমণ সারলেও বল নেই বিনয়ের দু'পায়ে। ফলে চলতে ফিরতে পারে না সে। বিছানায় সারাদিন বসে থাকা। এইভাবেই অসহায় দিন কাটছে এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের। পরিবার ফুলবাগান থানায় তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিবকে। স্বাস্থ্য কমিশনেরো দ্বারস্থ হতে গিয়েছিলেন শুক্রবার। কিন্তু শুধু সাইনবোর্ড দেখেই ফিরতে হয়েছে তাঁদের। ভিতরে কেউ ছিলেন না। বুধবার বৈঠকের পরও চালু হয়নি বিবাদিবাগ অফিসের কাজ। তৈরি হয়নি পরিকাঠামো।