বামফ্রন্টের দুই শরিক এবার সম্মুখ সমরে কলকাতা পুরভোটে, নজর কেড়েছে বেনজির লড়াই
কলকাতা পুরভোটে এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে নামছে বামফ্রন্টের দুই শরিক। এবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। সিপিএম বামফ্রন্টকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট চ্ছিন্ন করে এককভাবে শক্তি প্রদর্শনে নেমেছে কলকাতা পুরভোটে। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি, কলকাতার একটি ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের দুই শরিক নামছে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

কলকাতা পুরভোটে এবহার চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। কলকাতার চার বড়শক্তি আলাদা আলাদা প্রার্থী দিয়েছে। প্রধান লড়াই তৃণমূল বনাম বিজেপির সঙ্গেই হতে চলেছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা। আর কংগ্রেস বা সিপিএম তথা বামফ্রন্টের লক্ষ্য কোন ওয়ার্ডে তাদের কতটা শক্তি, া প্রদর্শন করা বা পর্যবেক্ষণ করা।
২০২১-এর পুরভোট যখন এই আঙ্গিকে হতে চলেছে, তখন কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর অন্য লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চলেছে। কলকাতা পুরসভার এই ওয়ার্ডে এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে নামছে বামফ্রন্টের দুই শরিক সিপিএম ও আরএসপি। বামফ্রন্টের দুই শরিকের পক্ষ থেকেই এই ওয়ার্ডে প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়েছে। ফলে লড়াই অবশ্যম্ভাবী প্রায়।
যাদবপুর বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে এই ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড। বামফ্রন্টের আসন বণ্টনের নিয়ম অনুসারে ওই ওয়ার্ডটি আরএসপির ভাগে পড়ে বলে দাবি। ফলে আরএসপি এই কেন্দ্রে প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেয়। আবার সিপিএমও মনোনয়ন জমা দিয়েছে এই কেন্দ্রে। ফলে বামফ্রন্টের দুই প্রার্থী মুখোমুখি হতে চলেছে এই ওয়ার্ডে।
একদিকে আরএসপি নিজেদের আসন ছাড়তে চাইছে না। অন্যদিকে বড় শরিক সিপিএম নেতাদের দাবি করেছে, আরএসপি প্রার্থী দিচ্ছে বলে তাঁরা জানেন না। বামফ্রন্টের তালিকায় দেখা যায় এই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের দীপঙ্কর মণ্ডলের। তাঁর পাশাপাশি সেই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন আরএসপির অলোক চট্টোপাধ্যায়।
৪ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। কিন্তু ওইদিন সিপিএম বা আরএসপি প্রার্থীদের কেউই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেননি। ফলে এই কেন্দ্রে বাম শরিকদের মধ্যে নজিরবিহীন লড়াই হতে চলেছে। আলিমুদ্দিন শেষপর্যন্ত কাউকে লড়াই থেকে বিরত করতে পারে কি না, সেটাই দেখার।
সিপিএমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যেহেতু যাদবপুরের ওই এলাকায় আরএসপির থেকে সিপিএমের সংগঠন ভালো জায়গায় রয়েছে, তারা অনেক শক্তিশালী, সিপিএম প্রার্থী দেয়। সিপিএম প্রার্থী এখানে পরিচিত মুখ, এলাকায় ভালো কাজ করে, স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে, তাঁদের চাহিদা বুঝেই ওই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত যা শরিকি লড়াই হতে চলেছে নজিরবিহীনভাবে। কলকাতায় এই প্রথমবার।