অনুব্রতকে নিয়ে তৃণমূলের সাফাই! 'কেষ্ট যা করে সবই লীলা', কটাক্ষ বিরোধীদের
দলীয় কর্মী ও প্রশাসনকে দেওয়া অনুব্রতের নির্দেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেও, কোনও ব্যবস্থা নিতেই রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত তাঁকে আড়ালই করতে চায় তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।
দলীয় কর্মী ও প্রশাসনকে দেওয়া অনুব্রতের নির্দেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেও, কোনও ব্যবস্থা নিতেই রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত তাঁকে আড়ালই করতে চায় তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, অনুব্রত যদি দোষী হয়, তাহলে দিলীপ ঘোষকে তো প্রতিদিনই ধরতে হয়।
ঘটনাস্থল
বীরভূম
জেলা
তৃণমূলের
সদর
দফতর।
কথোপকথনে
অনুব্রত
মণ্ডলে
বেশ
কিছু
নির্দেশ
দিতে
শোনা
যায়।
যা
ইতিমধ্যেই
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
ভাইরাল।
আউশগ্রামের
বিধায়ক
অভেদানন্দ
থান্ডারকে
নির্দেশ
দিতে
শোনা
যাচ্ছে,
'ফাইভ
ম্যান
কমিটি
থেকে
যে
ছেলেটাকে
বাদ
দিলাম,
ওকে
অ্যারেস্ট
করিয়ে
দে।'
আবার
বিজেপি
নেত্রীকে
গাঁজার
কেসে
অ্যারেস্টের
নির্দেশও
দেন
অনুব্রত
মণ্ডল।
বলেন
'মোটা
মেয়েটার
কী
নাম।
শাড়ির
ব্যবসা
করে।
সঙ্গীতা
নাম।
ওকে
অ্যারেস্ট
করিয়ে
দে।
বিজেপি
করে,
ওকে
অ্যারেস্ট
করিয়ে
দে।
গাঁজা
কেসে
ধরিয়ে
দে।'
এর
পরেই
জেলার
সহসভাপতি
অভিজিৎ
সিংহকে
নির্দেশ
দেন,
'আউশগ্রামের
আইসিকে
ফোনে
ধর,
বর্ধমানের
এসপিকে
ফোনে
ধর।
ধরিয়ে
দিই।'
দলীয় বৈঠকের ভিডিও বাইরে যাওয়ার কথা নয় বলে এদিন মন্তব্য করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদি বাইরেও যায়, ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ সেটা করেনি বলেও মন্তব্য এই নেতার।
এই ঘটনাকে বড় করে দেখতে রাজি নয় তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত, যদি অনুব্রত দোষী হয় তাহলে দিলীপ ঘোষকে তো প্রতিদিনই ধরতে হয়। এপ্রসঙ্গে তিনি সিপিএমের দিকেও ইঙ্গিত করেন। বিনয় কোনার কিংবা অনিল বসুর কুকথার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শুধু এবারই নয়, এর আগে বিরোধী দল হোক কিংবা পুলিশ, হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে সাফাই দিতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, অনুব্রতর মাথায় অক্সিজেন কম যায়।
বিষয়টি নিয়ে শাসক তৃণমূলের কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, 'কেষ্ট যা করে সবই লীলা। কারণ তাঁর মাথায় রয়েছে দিদির হাত'।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, দিলীপ ঘোষ দলের কর্মীদের আত্মরক্ষার উপদেশ দিয়েছেন। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল দলীয় দফতরে বসে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার কথা বলছেন।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী উদাহরণ হিসেবে তার দলের নেতার বিরুদ্ধে একটি মাদক পাচারের মামলার কথা তুলে ধরেছেন। জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতিকে মাদকের মামলা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।