তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া, রাজ্য বিধানসভায় ফের শূন্য আসন
হৃদরোগে আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক কস্তুরী দাসের মৃত্যু হল শুক্রবার। এদিন দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
চিকিৎসকদের দুদিনের সব চেষ্টা বৃথা করে হৃদরোগে আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক কস্তুরী দাসের মৃত্যু হল শুক্রবার। এদিন দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার বিধায়ক ছিলেন কলকাতার মহানাগরিক তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শাশুড়ি। কস্তুরীদেবীর বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৭ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া তৃণমূল শিবিরে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তারপর শুক্রবার দুপুরে ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বহু চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। এদিন হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ বিধানসভায় আনা হবে। সেখানে তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বিধায়করা।
তারপর মহেশতলায় নিয়ে যাওয়া হবে কস্তুরীদেবীর মরদেহ। তাঁর মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে মহেশতলার পার্টি অফিসেও। এরপর বাড়ি হয়ে শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে দু-বারের তৃণমূল বিধায়কের দেহ। কস্তুরীদেবীর স্বামী জানান, গত বুধবার তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বাড়িতেই চিকিৎসা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। তাঁর মধ্যেই মৃত্যু হল কস্তুরীদেবীর।
কস্তুরীদেবীর মৃত্যুতে ফের ফাঁকা হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার একটি আসন। ফলে এই আসনে ফের উপনির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হল। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গে আরও একটি নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হল রাজ্যে।