এবার বিস্ফোরক আরও এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ
দিন যত ২০২১-এর নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, ঘাসফুল শিবিরে ততই বাড়ছে বিক্ষুব্ধের সংখ্যা। এবার বেসুরো কলকাতার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ (atin ghosh) । একদিকে ভোল কুশলীকে নিয়ে তিনি যেমন নিজের মত জানিয়েছেন, ঠিক তেমনই শুভেন্দু অধিকারীকে (subhendu adhikari) নিয়েও জানিয়েছেন নিজের কথা।
দল বিরোধী কাজ হলে ব্যবস্থা নিন! নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আর কী কী বললেন মমতা

যাঁরা নেত্রীকে আক্রমণ করেছেন, তাঁরাও বহাল তবিয়তে
অতীন ঘোষ বলেছেন, দলের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিভিন্ন দল থেকে বিভিন্ন সময়ে যাঁরা দলকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছেন, নেত্রীকে আক্রমণ করেছেন, তাঁরাও এই দলে এসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফলে দলে যাঁরা পুরনো, এইসব ঘটনা তাঁদের যন্ত্রণা দেয়। যাঁরা এই দলের শুরু থেকে আছেন, তাঁরা দলের কাজে হতাশ।

মমতা নির্ভর করেন কয়েকজন বিশ্বস্তের ওপরে
অতীন ঘোষ বলেছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কয়েকজন বিস্বস্তের ওপরে নির্ভর করেন। তিনি বলেন এই বিশ্বস্ত মানুষরা যদি দলের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করত তাহলে দলের বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হত না।

বঞ্চনার স্বীকার
এদিন এক সর্বভারতী সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অতীন ঘোষ বলেছেন, তিনি এতদিন কোনও মুখ খোলেননি। কিন্তু তাঁকে বঞ্চনার স্বীকার হতে হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দলের মধ্যে যাঁরা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে গেলে ক্ষতি
শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অতীন ঘোষ বলেন, জনভিত্তি আছে এমন নেতার সংখ্যা দলে খুবই কম। তিনি বলেন, জনভিত্তি আছে এমন নেতার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী অন্যতম। এই ধরনের একজন নেতা যদি কোনও দল থেকে চলে যায়, তাহলে দলের ক্ষতি তো হবেই।

প্রশান্ত কিশোরের টিম নয়, পথপ্রদর্শক রাজনৈতিক নেতারাই
কোনও দিন প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্ট টিমের অধীনে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। তিনি বলেন, তাঁদের রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক ছিলেন ওপরের নেতারা। প্রসঙ্গত এর আগে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে শীলভদ্র দত্ত প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের কাজের প্রবল বিরোধিতা করেছেন। সারা বছর মানুষের পাশে না থেকে একটা প্রফেশনাল টিমে রাজনৈতিক জ্ঞান দিতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তাঁরা। আর এইধরনের টিম কাজ করলে কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ বলেও মন্তব্য করেছিলেন তাঁরা।
মিহির গোম্বামীর মতো নেতা কেন দল ছেড়ে গেল, দলই বা তাঁকে কেন রাখতে পারল না, তা নিয়ে তিনি বিষ্মিত বলেও জানিয়েছেন অতীন ঘোষ।

(ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)