ইলিশ মাছ থেকে প্রোমোটিং, আড়াআড়ি ভাগ তৃণমূল! ধান্দাবাজি করার জন্য পার্টিতে, বিস্ফোরক মন্ত্রী
পাশাপাশি দুই কেন্দ্রের দুই বিধায়কের লড়াইয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি একেবারে প্রকাশ্যে। এই দুইজন হলেন, বেলেঘাটার তৃণমূল (trinamool congress) বিধায়ক পরেশ পাল(paresh pal) এবং মানিকতলার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন
পাশাপাশি দুই কেন্দ্রের দুই বিধায়কের লড়াইয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি একেবারে প্রকাশ্যে। এই দুইজন হলেন, বেলেঘাটার তৃণমূল (trinamool congress) বিধায়ক পরেশ পাল(paresh pal) এবং মানিকতলার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে(sadhan pandey)। তবে তৃণমূলের এই দুই নেতার বিরোধী আজকেই নতুন নয়।
চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে সক্রিয় সিবিআই! হেফাজতে প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক
বিজয় সম্মিলনী থেকে পরেশ পালকে আক্রমণ
এদিন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সুনন্দা গুহর তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। যার প্রধান অতিথি ছিলেন এলাকায় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। সেই অনুষ্ঠান থেকেই তিনি বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, তিনি সেই সব নেতাদের ঘৃণা করেন, যাঁরা সেখানে ইলিশ মাছ খায়। আর কাঁচাগুলো ফেলে রাখে। তিনি আরও বলেন. তিনি দুঃখিত হন, যখন শোনেন পাশের বড় পার্কে ইলিশ মাছ খাওয়ানো হয়েছে। এলাকায় বহু নিরামিশাষি থাকতেও, পার্কেই ইলিশ মাছ খাওয়ানো হয়। তিনি বলেন, বাড়িতে কি খেতে পান না, মাছ খেয়ে কাঁটা ফেলে রেখে যান।
এলাকায় আ্রইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগ
এলাকায় তোলাবাজি নিয়ে পরেশ পালকে খোঁচা দেন সাধন পাণ্ডে। তিনি বলেন, ভয় দেখানো হচ্ছে এলাকায়। রাতে চার, পাঁচটি ছেলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আটাক আদায় করতে ফুলবাগানে মিষ্টির দোকানের সামনে স্ট্যাচু বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নাম না করেই আক্রমণ করতে গিয়ে সাধন পাণ্ডে আরও বলেন, এমএলএ পদ ছেড়ে দিয়ে টাকা কামাতে কি কাউন্সিলর হতে হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বড় নেতানেত্রীদের বলে কোনও লাভ হয় না। তাঁরা মনে করেন, যরা গুণ্ডামি করে তাদের গুণ্ডামি করতে দিতে হবে। কেননা তারাও তো ইলিশ খেতে আসেন।
ধান্দাবাজি করার জন্য পার্টিতে
সাধন পাণ্ডে বলেন, অনেকেই মনে করছেন, ধান্দাবাজি করার জন্য পার্টিতে ঢুকে যাও। তিনি বলেছেন ধান্দাবাজি চলবে না। ক্ষমতা থাকলে কেউ করুক। কিন্তু তিনি অন্যায় হতে দেবে না। তা করতে গেলে তাঁর(সাধন) মৃত বডির ওপর দিয়ে করতে হবে।
পাল্টা আক্রমণ পরেশ পালের
সব শুনে সাধন পাণ্ডেকে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিধায়ক পরেশ পাল। তিনি বলেছেন সাংসদকে তিনি ৫৪ হাজারের লিড দেন। কিন্তু পাশের কেন্দ্রে সাংসদ পিছিয়ে থাকেন। সাধন পাণ্ডেকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মন্ত্রীর মেয়ে তো রাস্তায় হাঁটাহাটি করেন, কেউ তো তাঁকে টেনে নিয়ে যায় না। ইলিশ মাছের কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর বাড়িতে কে বিধবা আছে তা তিনি জানেন না। ইলিশ মাছের কাঁটায় কোন অসুবিধা, সেই প্রশ্ন করেন পরেশ পাল। তিনি পাল্টা ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সুনন্দা গুহ বিরুদ্ধে বেআইনি বাড়ি তৈরিতে মদতের অভিযোগ করেন। পাশাপাশি বলেন সাধন পাণ্ডে ফাটকাবাজ। সে নিশ্চয়ই অন্য কোনও জায়গা থেকে আস্বাদ পেয়েছে, তাই ঝামেলা করে, ঝগড়া করে পালাতে চাইছে। ও দলের কোনও ভাল কাজ দেখতে পায় না বলেন পরেশ পাল। সাধন পাণ্ডেকে আস্ত ছাগল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগেও দুই নেতার ঝামেলা
এর আগেও দুই নেতার ঝামেলা হয়েছে। পরেশ পাল অভিযোগ করেছিলেন সাধন পাণ্ডে সিঙ্গুরের সময় থেকেই টাটাদের দালালি করেন। কংগ্রেসে থাকার সময়েও সোমেন মিত্র, প্রণব মুখোপাধ্যায়, বরকত গণিখান চৌধুরীর পিছনেও তিনি লেগেছিলেন বলে মন্তব্য করেছিলেন পরেশ পাল। তিনি আরও বলেছিলেন সবাইকে অত্যাচার করে রক্ত মাংস খেয়ে নেয়।
এর আগে সাধন পাণ্ডেকে বিধান রায়ের জন্ম ও মৃত্যু দিনে উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি শিবাজি সিংহ রায়ের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গিয়েছে একেবারে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। তখনই জল্পনা হয়েছিল তাহলে কি সাধন পাণ্ডে বিজেপির পথ ধরছেন।