বামেদের ৩০ বছরের 'জয়'কে একবারেরই 'পায়ের তলায়' ফেলল মমতার দল, দেখে নিন পরিসংখ্যান
১৯৭৮ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবমিলিয়ে জয়ী হয়েছিলেন প্রায় ২৩,১৮৫ জন প্রার্থী। আর ২০১৮-তেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি তৃণমূল প্রার্থী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯৭৮ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত হওয়া রেকর্ড ২০১৮-তে একবারেই ভেঙে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৮ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবমিলিয়ে জয়ী হয়েছিলেন প্রায় ২৩,১৮৫ জন প্রার্থী। আর ২০১৮-তেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি তৃণমূল প্রার্থী।
মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েতের ১০০ শতাংশ আসনে জয়ের ডাক দিয়েছেন। সেই ডাক-কে স্বার্থক করে তুলতে নেমে পড়েছেন তাঁর দলের নেতানেত্রীরা।
রাজ্য
নির্বাচন
কমিশন
থেকে
পাওয়া
তথ্য
অনুযায়ী,
গ্রাম
পঞ্চায়েতে
মোট
আসন
৪৮,৬৫০।
সেখানে
বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
তৃণমূল
জয়ী
হয়েছে
১৬,৮১৪
টি
আসনে।
আসন
সংখ্যার
বিচারে
যা
প্রায়
৩৪.৫৬
শতাংশ।
পঞ্চায়েতে
সমিতির
মোট
আসন
৯,২১৭।
সেখানে
বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
তৃণমূল
জয়ী
হয়েছে
৩,০৫৯
টি
আসনে।
আসন
সংখ্যার
বিচারে
যা
প্রায়
৩৩.১৮
শতাংশ।
জেলা
পরিষদে
মোট
আসন
৮২৫
।
সেখানে
বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
তৃণমূল
জয়ী
হয়েছে
২০৩
টি
আসনে।
আসন
সংখ্যার
বিচারে
যা
প্রায়
২৪.৬০
শতাংশ।
তিনটি
স্তর
মিলিয়ে
মোট
আসন
৫৮,৬৯২।
সেখানে
তৃণমূল
জয়
পেয়েছে
২০,০৭৬
টি
আসনে।
আসন
সংখ্যার
বিচারে
যা
প্রায়
৩৪.২০
শতাংশ।
১৯৭৮ থেকে ২০০৮, বাম শাসনে হওয়া ৭ টি পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব থেকে বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হয়েছিল ২০০৩ সালে। প্রায় ৬,৮০০ টি আসনে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩তে প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৬,২৭৪ টি আসনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। আর এবার এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২০,০৭৬। তবে এই সংখ্যারও কিছু পরিবর্তন হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এই নির্বাচনকে ছেলেখেলা বলে মন্তব্য করলেও, অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে। তাই বিরোধীদের পক্ষে লোক নেই। ভোটে নামলে আরও তাদের খোঁজ পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।