দীর্ঘ লড়াইয়ের পর SSKM এ মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মী, তীর বিজেপির দিকে
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর SSKM এ মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মী, তীর বিজেপির দিকে
ত্রিপুরার এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে কলকাতার SSKM হাসপাতালে। নাম মুজিবুল ইসলাম মজুমদার। তৃণমূল নেতারা ইতিমধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
ত্রিপুরায় ২০২১ সালের ২৮ অগস্ট তৃণমূলের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই তাঁকে মারধর করেছিল বিজেপির কিছু মানুষ। এমনই অভিযোগ করেছে তৃণমূল। অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হতে থাকলে তাঁকে কলকাতায় এনে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চলছিল তার চিকিৎসা। বুধবার সকাল সাড়ে ৬'টা নাগাদ মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী মুজিবুলের।
যদিও এঘটনায় ত্রিপুরা বিজেপির দাবি করে জানায়,এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। তাদের দলের কেউই এর সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু তৃণমূল পালটা দাবি করে জানান, গত ২৮ অগস্ট তৃনমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করার জন্য বাধারঘাটে নিজের বাড়িতেই বিজেপির আক্রমণের শিকার হন মুজিবুল। তাঁকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করা হয় তাঁকে। তাঁর একটা হাত ভেঙে গুঁড়ো করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোহার রড দিয়ে মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ জানায় তৃণমূল।
টি এম সি পি-র প্রতিষ্ঠা দিবসে @BJP4Tripura আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে গুরুতর আহত হন আমাদের নেতা মজিবর ইসলাম মজুমদার। আজ কলকাতার এস এস কে এম-এ তাঁর মৃত্যু হয়।
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) January 5, 2022
আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।@BjpBiplab আপনার হাত রক্তাক্ত, এই ঘৃণ্য অপরাধের ফল আপনাকে ভোগ করতেই হবে। pic.twitter.com/tdHLHXpl4n
অপরদিকে দেখা যাচ্ছে, আজ বুধবার ত্রিপুরার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল আইন শৃঙ্খলা থেকে কর্ম সংস্থান-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে ত্রিপুরায় আন্দোলন। আজ, ১৫ দফা দাবীতে রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে, আজ সকাল ১১ টার সময় বিবেকানন্দ ময়দানের সামনে জমায়েত করা হবে। রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, প্রতিনিয়ত মহিলা নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, ব্যাপকহারে বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট, বিরোধীদলের কর্মী নেতাদের উপর আক্রমন, কাৰ্য্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া, এই সব কাজের প্রতিবাদে এই অভিযান করা হবে বলে দাবি করেন তৃণমূল।
তৃণমূলের আরও অভিযোগ করে জানান, পৌর নির্বাচনকে ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল, প্রার্থী-সহ ভোটারদের ভোট দিতে না দেওয়া, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের উপর বাজে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।