সেই রাতে দর্পণের ফ্ল্যাটেই ছিল তার প্রেমিকা! ২২ দিন পর আত্মহত্যা ঘুরে গেল হত্যাকাণ্ডে
বাগুইআটির ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ২২দিন পর নাটকীয় মোড় নিল। তদন্তকারীদের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার অভিযোগের তির ঘুরে গেল প্রেমিকার দিকে।
বাগুইআটির ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ২২দিন পর নাটকীয় মোড় নিল। তদন্তকারীদের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার অভিযোগের তির ঘুরে গেল প্রেমিকার দিকে। খুনের রাতে মৃত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া দর্পণরাজ সিংয়ের ঘরেই ছিল তার প্রেমিকা। এমন তথ্য উঠে আসাতেই খুনের মোটিভ ঘুরে গিয়েছে ত্রিকোণ প্রেমের দিকে।
তবে কি দর্পণ-খুনের পিছনে দ্বিতীয় কোনও সম্পর্কের জটিলতা রয়েছে? তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। দর্পণের প্রেমিকাকেও জেরা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের নজরে তাই ওই তরুণী। বাগুইআটির ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়ার পর থেকেই ওই তরুণী ফ্ল্যাটে আসতে শুরু করে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
১৮ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ির বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া দর্পণের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ফ্ল্যাট থেকে। কলকাতার এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করত সে। থাকল বাগুইআটির একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই এই দর্পণের রহস্য-মৃত্যু অন্যদিকে মোড় নেয়।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে দর্পণের শরীরে। যা থেকে মনে করা হচ্ছে আত্মহত্যা নয়, এটি আসলে হত্যাকাণ্ড। দর্পণের পরিবারও অভিযোগ করে, এটি খুনের ঘটনা। তারপরই প্রতিবেশীদের জেরা থেকে যে তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে, তাতে এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেম রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানতে পেরেছে, দর্পণের ফ্ল্যাটে প্রায়ই আসত তাঁর এক বান্ধবী। এমনকী ওই বান্ধবী রাতেও থাকত ফ্ল্যাটে। পুলিশের হাতে এমন তথ্যও উঠে এসেছে যে, ঘটনার দিন রাতেও দর্পণের প্রেমিকা ফ্ল্যাটে ছিল। এখন তাঁর প্রেমিকাকে জেরা করা হতে পারে। অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই এই ঘটনা কি না, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।