এবার ব্যস্ত শহরের উড়াল পুল থেকে সরছে ট্রাম লাইন
এক সময় শহরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এই শতাব্দী প্রাচীন স্থলযান। সে সময় দেশ তথা এ রাজ্যের প্রথম ও একমাত্র পরিষেবা প্রদানকারী ঐতিহ্যবাহী ট্রাম আজ বাস-ট্যাক্সি ইলেকট্রিক বাস, ওলা - উবের ভিড়ে কোণঠাসা। এবার আরও সংকট আসতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী যান চলাচলে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কলকাতা শহরের বুকে যে উড়ালপুল রয়েছে, যত সেতু রয়েছে সেগুলি থেকে তুলে দেওয়া হবে ট্রাম লাইন। এমনকি আগামী দিনেও শহরে নতুন যে সব সেতু ও উড়ালপুল হবে সেখানেও বসানো হবে না ট্রামলাইন। মূলত সেতু ও উড়ালপুলগুলির আয়ু বাড়াতেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে পূর্ত দপ্তর সূত্রে।
এছাড়াও স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন, ট্রাম লাইন থাকার জন্য ব্রিজের ওপর চাপ বাড়ছে। ব্রিজের ভারবহন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ট্রাম লাইনই মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার এটা একটা অন্যতম কারণ ছিল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম লাইনের উপরে অনেক জায়গায় পিচের আস্তরণ দেওয়া হয়। যাতে ব্রিজের ভার আরও বেড়ে যায়।
আর তাই পূর্ত দফতর এবং কেএমডিএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বর্তমানে কালীঘাট ব্রিজ , শিয়ালদা উড়ালপুল , অরবিন্দ সেতুর মতো কোন ব্রিজ বা উড়ালপুলে ট্রাম লাইন রাখবে না। আর নতুন যেসব ব্রিজ তৈরি হচ্ছে সেখানে নতুন করে ট্রাম লাইন বসানো হবে না। শুধুমাত্র মাটির উপরেই থাকবে ট্রাম লাইন। এর ফলে কিছু রুটে ট্রাম চলাচল বিঘ্নিত হবে।
জানা গিয়েছে, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্যজনিত হাল খতিয়ে দেখতে এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে রাজ্য রাজ্য সরকার। সেই কমিটি কলকাতার বুকে থাকা সব সেতু ও উড়ালপুলের হাল হকিকত খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয় যে ওই সব সেতু ও উড়ালপুলের ওপর থাকা ট্রাম লাইন তুলে দিতে হবে। না হলে তা সেতুর স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব পড়বে।