আজ মেট্রোর সুড়ঙ্গের গঙ্গা-স্পর্শ, ঐতিহাসিক ক্ষণের আগে হাওড়ায় চলছে পুজো-পাঠ
অবশেষে মেট্রোর সুড়ঙ্গের গঙ্গা-স্পর্শ ঘটছে আজ। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে যেমন মানুষের উন্মাদনার শেষ নেই, তেমনই শুরু হয়েছে পুজো-পাঠ, হোমযজ্ঞ।
হাওড়া ও কলকাতা, ১৪ এপ্রিল : অবশেষে মেট্রোর সুড়ঙ্গের গঙ্গা-স্পর্শ ঘটছে আজ। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে যেমন মানুষের উন্মাদনার শেষ নেই, তেমনই শুরু হয়েছে পুজো-পাঠ, হোমযজ্ঞ।
শুক্রবার সকাল থেকেই হাওড়ায় গঙ্গার ঘাটে মঙ্গলারতি চলছে। শুধু পুজোর আয়োজনই নয়, মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড সুড়ঙ্গের ভিতর মাটি কেটে কীভাবে গঙ্গার নিচে প্রবেশ করবে বোরিং মেশিন, সেই দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থাও করেছে।
গঙ্গার নিচে টানেল তৈরির কাজ নিয়ে উন্মাদনা ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের মধ্যেও। আসলে এতদিন মাটির নিচে টানেল বোরিংয়ের কাজ করেছেন বিশেষজ্ঞরা, কিন্তু গঙ্গার নিচে এই প্রথম। তাই তাঁরাও উত্তেজনার মধ্যে রয়েছেন। প্রায় ৭০ ফুট নীচে সুড়ঙ্গ। গঙ্গার তলা থেকেও ৪০ ফুট গভীরে।
টানেল বিশেষজ্ঞরা জানান, গঙ্গার নিচে যে কংক্রিটের স্ল্যাব দেওয়া হবে, তা বিশেষভাবে তৈরি। নদীর নীচে সুড়ঙ্গ কাটার জন্য সমস্তরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ব্যবস্থা রয়েছে নজরদারিরও। এ জন্য ক্লোজট সার্কিট ক্যামেরার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সুড়ঙ্গে জল ঢুকছে কি না সে ব্যাপারে নজরদারি চালাতেই এই ব্যবস্থা।
কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন সূত্র জানা গিয়েছে, ৯০ ফুট নিচে দিয়ে তৈরি হবে দীর্ঘ ৫২০ মিটার সুড়ঙ্গ। গঙ্গার নিচে পলি মাটি কাটা হবে টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে। একে একে পেরিয়ে বঙ্কিম সেতু, হাওড়া স্টেশন পেরিয়ে বোরিং মেশিন এখন পৌঁছে গিয়েছে হাওড়া স্টেশনের উল্টোদিকে পোস্ট অফিসের নিচে। এখান থেকেই গঙ্গার তলা দিয়ে সুড়ঙ্গ পৌঁছবে আর্মেনিয়াম ঘাটের কাছে। আড়াই থেকে তিনমাস সময় লাগবে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে।