পশ্চিমবঙ্গে আইএসের উপস্থিতি প্রমাণ করতে মুসাকে পাঠানো হয়েছিল!
কলকাতা, ৭ জুলাই : হাওড়া স্টেশন থেকে নজর রেখে বর্ধমান স্টেশনে গিয়ে ধরা পড়া মুসা নামের যুবকের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে তা আগেই প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তবে সে কেন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বীরভূমের লাভপুরে যাচ্ছিল তা নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা ছিল গোয়েন্দাদের মনে।
তবে পরে মুসাকে জেরার পরে চমকে গিয়েছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশে ঠিক যেভাবে সংখ্যালঘুদের হত্য়া করা হয়েছে, এরাজ্য়ে আইএসের উপস্থিতি প্রমাণ করতে সেভাবেই মুসাকে ব্যবহারের ছক কষা হয়েছিল।
মুসাকে দিয়ে আইএস আক্রমণ হতে চলেছিল তিনজন বয়স্কর উপরে। এরা লাভপুরের বাসিন্দা। তাদের খুন করে সেখান থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার কথা ছিল মুসার। সেখান থেকে পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা তার।
সেই প্রশিক্ষণ শেষ করে বাংলায় ফিরে পুরোদমে আইএসের হয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল মুসাকে। গোয়েন্দাদের দাবি, মুসা জানিয়েছে, ভারতে আইএসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সফি আরমারের সঙ্গে যোগাযোগের পরে তাকে আমজাদ আলি শেখের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। জানানো হয়, বাংলার দায়িত্বে রয়েছে এই আমজাদই।
জেরায় মুসা নাকি জানিয়েছে, আমজাদও যেহেতু বাঙালি ছিল ও তার বাড়ি বীরভূমেই, তাই তার নির্দেশ মানতে বলা হয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে একটি বাংলা গড়া যা শরিয়ত আইন মেনে চলবে।
এখন ঘটনা হল, মুসার মতো আর কতজন পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। এই বিষয়টিই বেশি ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। এরকম একজন একজন করে বেছে নিয়ে তৈরি করা মডিউল গভীর চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গোয়েন্দাদের মনে। মুসাকে জেরা করে সেই সূত্রেরই সন্ধানে আপাতত ব্যস্ত গোয়েন্দারা।