পুরসভার আয় জানতে কেন্দ্রের চিঠি, গণতন্ত্রের অবমাননা বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব চিঠি দিয়ে কর সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়ায় মোদি সরকারকে ডাকু গভর্নমেন্ট বলতেও পিছপা হলেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এইভাবে চিঠি দেওয়া অবমাননার সামিল
কলকাতা, ৩ ডিসেম্বর : কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে নবতম সংযোজন আয় জানতে কেন্দ্রের একটি চিঠি। রাজ্যের টোলপ্লাজায় সেনা মোতায়েন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের পর এবার মুখ্যমন্ত্রী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নগরোন্নয়ন দফতরের আন্ডার সেক্রেটারিকে কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব চিঠি দিয়ে কর সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়ায়। এ প্রসঙ্গে মোদি সরকারকে ডাকু গভর্নমেন্ট বলতেও পিছপা হলেন না তিনি। তাঁর কথায়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এইভাবে চিঠি দেওয়া অবমাননার সামিল।
অভিযোগ, কেন্দ্রীয় রাজ্যস্ব সচিব চিঠি লিখে জানতে চান, ২০১৫ সালের নভেম্বর ও ২০১৬ সালের রাজস্ব বাবদ কত অর্থ আদায় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর এই তথ্য জানতে চেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। নগরোন্নয়ন দফতরের আন্ডার সেক্রেটারিকে এই তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ ভাবে কোনও আন্ডার সেক্রেটারিকে চিঠি লিখে সংক্রান্ত তথ্য জানা যায় না। মোদি সরকার গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা করছে। সরকার এইভাবে পুরসভায় আয় জানতে চিঠি দিতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের পর থেকে পুরনো নোটে রাজস্ব আদায় জারি রেখেছিল কলকাতা পুরসভা। সাধারণ মানুষ তাই পুরনো নোটে রাজস্ব মেটাতে থাকে। আর পুরনো নোট নিয়ে যাতে ঝামেলা পোহাতে না হয়, সেইজন্য এ মাসে বকেয়া রাজস্ব আদায় হয় বহু টাকার। স্বভাবতই এই মাসে রাজস্ব আদায়, অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশিষ এমনকী গত নভেম্বরের সঙ্গে তুলনাতেও অনেক বেশি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুরসভার তহবিলে ১০ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ২২ কোটি টাকা জমা পড়েছে। আর ২৪ নভেম্বর সেই টাকা বেড়ে হয়েছে ৭৩ কোটি ৮৪ লক্ষ। উল্লেখ্য ২৪ নভেম্বরই রাজস্ব জমা পড়েছে ৯ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার। রাজস্বের এই পরিমাণ জানতে চেয়েছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার।
ক্রমশই মোদি সরকারের সঙ্গে একটার পর এটা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে রাজ্য। নোট বাতিলের পর সেনা মোতায়েন, সবশেষে কর-তরজা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে টুইট করে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, অকারণে পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করেছে রাজ্য। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে লড়াই জারি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কেজরিওয়াল।