কলকাতার ছোট লালবাড়ির দখল কে নেবে, এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষায় স্পষ্ট আভাস
একুশের নির্বাচনের পর কলকাতা পুরভোটের দামামা বেজেছে বাংলায়। ছোট লালবাড়ির দখল কার হাতে ওঠে তা নিয়ে কাউন্ডডাউন শুরু হয়েছে। সপ্তাহান্তে ভোট হবে কলকাতা পুরভোটে। তার আগে কলকাতা পুরভোটের সম্ভাব্য ফল কী হতে চলেছে, কার হাতে উঠতে চলেছে ছোট লালবাড়ির কর্তৃত্ব, তার আবাসর দিল এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষা।
তৃণমূলের হাতেই উঠতে চলেছে কলকাতা পুরসভা
কলকাতা পুরভোটের ১৪৪টি ওয়ার্ড। তা ১৬টি বরোয় বিভক্ত। এই বরোগুলির পাশাপাশি গোটা কলকাতা পুরসভার দখল কে নেবে, তা কি তৃণমূলের হাতেই থাকবে, নাকি বিজেপি থাবা বসাতে পারবে বিজেপির কর্তৃত্বে, তার আভাসে এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষা জানাল, আরও একবার তৃণমূলের হাতেই উঠতে চলেছে কলকাতা পুরসভার কর্তৃত্ব।
কোন দলের কত ভোট প্রাপ্তির সম্ভাবনা
এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, কলকাতা পুরভোটে বরো-ওয়াড়ি ফলাফলে তৃণমূল পেতে পারে ৫৪ শতাংশ থেকে ৪৮ শতাংশ ভোট। আর বিজেপি পাবে ২২ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট। এবারও সিপিএম বা বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের বাক্সে তেমন ভোট আসবে না। সিপিএম তথা বামফ্রন্ট পাবে ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোট। আর কংগ্রেসের বাক্সে যেতে পারে ৩ থেকে ৬ শতাংশ ভোট।
বেশিরভাগ বরোতেই তৃণমূলের দাপট
এদিন এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষায় প্রকাশ, তৃণমূলই সিংহভাগ ওয়ার্ডে জিততে চলেছে কলকাতা পুরসভায়। বরো-ওয়াড়ি যে ফলাফল দেখানো হয়েছে সমীক্ষা রিপোর্টে, তাতে দেখা যাচ্ছে ১৬টির মধ্যে বেশিরভাগ বরোতেই তৃণমূলের দাপট। কোনও কোনও বরোতে তৃণমূল জিততে চলেছে সমস্ত ওয়ার্ড, আবার কোনও বরোতে নিদেনপক্ষে একটি বা দুটি ওয়ার্ডে জিতছে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম বা অন্য কোনও দল।
কলকাতা পুরভোটে এবার কার্যত চতুর্মুখী
কলকাতা পুরভোটে এবার কার্যত চতুর্মুখী লড়াই। খাতায়-কলমে কোনও জোট হয়নি এবারের ভোটে। তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট সরাসরি লড়াইয়ে নামছে। ফলে এবার কলকাতায় স্পষ্ট হয়ে যাবে কোন দলের জনসমর্থন কতটা। সেইমতো ৫০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়ে তৃণমূল তাদের আধিপত্য বজায় রাখছে। বিজেপিই দ্বিতীয় স্থান লাভ করতে চলেছে পুরভোটে। এখন দেখার ২০১৫-র থেকে এবার বেশি আসন পায় কি না বিজেপি।
২০১৫ কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফল
উল্লেখ্য, ২০১৫ কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল পর্যাপ্ত প্রাধান্য নিয়ে জিতেছিল। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ১১৪টি ওয়ার্ডে। আর দ্বিতীয় স্থানে ছিলে বামফ্রন্ট। সিপিএম নেতৃত্বধীন বামফ্রন্টের দখলে গিয়েছিল ১৫টি ওয়ার্ড। বিজেপি জিতেছিল সাতটি ওয়ার্ডে। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছিল ৫টি ওয়ার্ড। আর অন্যান্যরা জয় পেয়েছিল তিনটি ওয়ার্ডে।