
বাইপাসের ওপরেই তৃণমূলের অস্থায়ী ঠিকানা! তপসিয়ায় 'ভবন' তৈরির কাজ শুরু হবে শিগগিরই
রাজ্যে শাসক দলের কেন্দ্রীয় অফিস (office) বলে কথা। তপসিয়ার পুরনো বাড়িটি আগেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তা তৈরি করতে সময় লাগবে। এর মধ্যে কাজ চালাতে অসুবিধায় পড়েছিল তৃণমূল (Trinamool Congress)। তাও কোনওক্রমে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতেই কাজ চালানো হচ্ছিল। পরবর্তী সময়ে অসুবিধা দূর করতে বাইপাসের (Bypass) ধারেই আস্তানা খুঁজে পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। দিন কয়েকের মধ্যে সেখানেই কাজ শুরু করা হবে।

দলীয় অফিসের জন্য বাড়ি খুঁজে পেয়েছে তৃণমূল
তপসিয়ার তৃণমূল ভবন ভেঙে সেখানে বহুতল তৈরির পরিকল্পনা অনেক দিলেন। পুরোটাই দল ও শাখা সংগঠনের অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয় এবং তৃণমূলের কেন্দ্রীয় অফিস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। আপাতত সেইখানেই হচ্ছিল কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরহাদ হাকিমদের বলেছিলেন,. কাজ চালানোর মতো অস্থায়ী বাড়ির খোঁজ করতে। তা ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

অস্থায়ী 'তৃণমূল ভবনে'র ঠিকানা
বাড়ি খোঁজার সময় নজরে রাখতে হয়েছে বহু মানুষের সমাগম হবে, আসবে অনেক গাড়ি। তাই সরু কোনও রাস্তার ধারে নয়, বাইপাসের ধারেই তৃণমূলের অস্থায়ী ঠিকানা বেছে নেওয়া হয়েছে। বাইপাস দিয়ে বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে গেলে চিংড়িহাটা মোড়ের আগে বাঁদিকে পড়ে বাইপাস ধাপা। তার ঠিক পাশেই একটি তিনতলা বাড়িকেই তৃণমূলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় অফিস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। গেস্ট হাউজ হিসেবে চলা বাড়িটি ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে বলে ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর।

তপসিয়ার নতুন ভবন নিয়ে যা পরিকল্পনা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূল তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তপসিয়ার নতুন তৃণমূল ভবন অনেকটা কর্পোরেট কাঠামোর তৈরি হওয়ার কথা। সেখানে শাখা সংগঠনের আলাদা অফিস ছাড়াও, শীর্ষ নেতাদের বসার জন্য আলাদা কেবনের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও সেখানে কনফারেন্স হল এবং প্রেস কর্নার পার্কিং লাউঞ্জ তৈরির কথাও রয়েছে।

দলীয় অফিসে বৈভব যেন না থাকে, বলেছিলেন মমতা
নতুন তৃণমূল ভবন করা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে অনেকদিন ধরেই। যা নিয়ে নানান জল্পনাও রয়েছে। যা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও গিয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এব্যাপারে বলেছিলেন, দলীয় অফিসে যেন কোনও বৈভব না থাকে। একেবারে সাধারণ অফিস বলতে যা বোঝায় তাই। সেই সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খানিক অন্তরালে ছিলেন। এবার ফের স্বপদে ফিরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে নতুন তৃণমূল ভবনের কাজ কবে শেষ হবে তা দলের নেতা-কর্মীদের কাছে পরিষ্কার না হলেও, ভবন তৈরিতে অভিষেকের যে একটা মতামত থাকবে, তা বলছেন দলের সঙ্গে যুক্ত সবাই।
অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরেই কড়া চিঠি মমতাকে! ডাকলেন রাজভবনেও