বাম পথেই এবার তৃণমূল! রাজ্যপাল পদে প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন পার্থর
রাজ্যপাল পদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যপাল পদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা দরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিধানসভা অধিবেশনে তিনি বলেন, জনপ্রিয় সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল পদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন পার্থর
এবার রাজ্যপাল পদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন বিধানসভার অধিবেশনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এব্যাপারের আলোচনার প্রস্তাব দেন। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে জনপ্রিয় সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ গত ৩ বছরে রাজভবনের খবর ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাম আমলেও প্রশ্ন উঠেছিল রাজ্যপালের পদ নিয়ে
বর্তমানে রাজ্যে তৃণমূল আর কেন্দ্র বিজেপির শাসন। এর আগে যেই সময়ে রাজ্যে রাজ্যপালের পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে বামেদের ভরা শাসন। আর কেন্দ্রে কংগ্রেসের একচেটিয়া রাজ। কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার রাজ্যে জ্যোতি বসুর নেতৃত্বাধীন বাম সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করত বলে অভিযোগ। শুধু জ্যোতি বসুর সরকারই নয়, সারা দেশে কংগ্রেস বিরোধী সরকারের ক্ষেত্রে প্রায় একই পদক্ষেপ নেওয়া হত বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বর্তমানে যে কাজটি করছে বিজেপির সরকার, সেই সময় কংগ্রেসের সরকার একই কাজ করত বলেও মনে করেন তারা।
রাজ্যপালের ক্ষোভ
শুরুটা হয়েছিল, বাবুল সুপ্রিয়কে যাদবপুর থেকে উদ্ধার করা নিয়ে। সরকারের বারণ সত্ত্বেও রাজ্যপাল বাবুল সুপ্রিয়কে রক্ষা করতে যাদবপুরে যান। এরপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়েছে। সে বিভিন্ন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটআউট হোক, কিংবা চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যপাল হেলিকপ্টার চেয়ে রাজ্য সরকারের থেকে পাননি। সেই অভিযোগও করেছিলেন। যদিও বেশিরভাগ অভিযোগের জবাব দিয়েছে রাজ্য। হেলিকপ্টার সম্পর্কে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল যেদিন হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন, সেদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে পরিদর্শনে এসেছিলেন।
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত
মঙ্গলবার সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিধানসভায় গিয়ে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী মুখোমুখি হয়েছেন ঠিকই কিন্তু একে অপরের সঙ্গে কথা বলেননি। রাজ্যপালের নমস্কারের পরিবর্তে নির্বিকার থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজভবনের সরকারি অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধিকেও দেখা যায়নি। মঙ্গলবারের ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেখা হলেও কথা বলেন। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে রাজ্যপাল টুইট করেন, তিনি কারও প্রতি সৌজন্য বিনিময়ে কার্পণ্য করেননি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা রয়েছে।