
বিরোধী দলনেতা গুণ্ডাবাজ, অরাজকতা সৃষ্টিকারী! বিধানসভায় গণ্ডগোল নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা ফিরহাদের
বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে রামপুরহাট (rampurhat) কান্ড নিয়ে বিধানসভায় (assembly) গণ্ডগোল। দুপক্ষের বিধায়কের মধ্যে মারামারি। পরে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-সহ ৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন। বিধানসভায় এদিনের অশান্তির জন্য বিরোধী দলনেতাকে সরাসরি দায়ী করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

বিধানসভায় মারামারি, সাসপেন্ড বিজেপির ৫ বিধায়ক
এদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা রামপুরহাট নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে অধ্যক্ষ তা খারিজ করে দেন। এরপরেই বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে গেলে সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা বাধা দেন। অন্যদিক থেকে নেমে আসেন তৃণমূল বিধায়করাও। দুপক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এরপর বিজেপির বিধায়করা ওয়াক আউট করেন। বিধানসভার বাইরে এসে বিজেপির মুখ্য সতেচক মনোজ টিগ্গা অভিযোগ করেন, তাঁর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ৮ থেকে ১০ জন বিধায়ক ঘটনায় আঘাত পেয়েছেন বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর নাকে ঘুষি মেরেছেন। এরপর সরকার পক্ষের অভিযোগ আর দাবির ভিত্তিতে অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৫ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন।

বিধানসভার বাইরে সরব ফিরহাদ
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে এসে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, বিধানসভায় এরা রোজ অসভ্যতা করে, অধ্যক্ষের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তিনি বলেন, বিধানসভা মারামারি কিংবা ভাঙচুরের জায়গায় নয়, বক্তব্য রাখার জায়গা। এদিন বিজেপির বিধায়করা লাইট ভাঙার পাশাপাশি মার্শালদের মেরেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এর পরেই তিনি অসিত মজুমদারের দিকে দেখিয়ে বলেন, ওদের বিধায়কদের মানা করতে যাওয়ায়, তাঁকে ঘুষি মারা হয়েছে।

গুণ্ডাবাজ বিরোধী দলনেতা
ফিরহাদ হাকিম আরও অভিযোগ করেন, এরকম গুণ্ডাবাজ বিরোধী দলনেতা তিনি আগে দেখেননি। শুভেন্দু অধিকারীকে অরাজকতা সৃষ্টিকারী বিরোধী দলনেতা বলেও অভিহিত করেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও একটা সময়ে বিরোধী দলনেতা ছিলেন। তথ্য দিয়ে সরকারের সমালোচনা করতেন তিনি।

চিন্তিত নন শুভেন্দু
যদিও তাঁদের একবছরের সাসপেনশন নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন বিরোধী দলেনাত শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, ওঁরা একাই বিধানসভা চালাতে চান। ওঁরা বিরোধীদের বিধানসভায় দেখতে চান না। সেই কারণেই এই সাসপেনশন। বিধানসভায় ঢুকতে না দিলেও লবিতে নকল বিধানসভা বসানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিনের মারামারির ঘটনার পরে অসিত মজুমদারকে এসএসকেএম-এ ভর্তি করানো হয়। অন্যদিকে বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে, শারীরিক পরীক্ষার জন্য।
রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষের পরেই বহু সাংসদের দলবদলের সম্ভাবনা! উঠে আসছে যাঁদের নাম