সিপিএম নয়, ধর্মতলার সমাবেশে 'দিদি' ধুনলেন বিজেপিকে
আরও
পড়ুন:
ধর্মতলায়
সমাবেশে
অবরুদ্ধ
কলকাতা,
নাকাল
আম
আদমি
আরও
দেখুন:
(ছবি)
২১
জুলাই
সমাবেশের
কিছু
রঙিন
ঝলক
ধর্মতলায় এ বারের সমাবেশে লোক হয়েছিল ভালোই। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, অন্তত পাঁচ লক্ষ লোক হয়েছে। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শেষে বলতে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ঋণে সুদ বাবদ বিপুল পরিমাণ টাকা কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে। তবুও এই সরকার বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটা তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব হত না।
তিনি আরও বলেন, "দেড় মাস হল কেন্দ্রে ওরা ক্ষমতায় এসেছে। এসেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে দিল। ট্রেনের ভাড়া বাড়াল। এরা মানুষের ভালো চায় না। বাংলাতেই দেখুন। আমার কাছে খবর আছে, দাঙ্গা বাধাতে চাইছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। আগে শুধু দার্জিলিংয়ে ছিল। এ বার তার সঙ্গে আরও একটা সিট জিতেছে। দু'টো আসন পেয়েই এত লাফালাফি! হিন্দু-মুসলমানে দাঙ্গা বাধাতে চান? পারবেন না। পরের ভোটে দুই সংখ্যাটা শূন্য হয়ে যাবে। আমরা আছি, থাকবও। যারা বিজেপির দালালি করছেন, আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন, তারা শুনে রাখুন, আমরা আরও বড় হব।"
শক্তি জাহির করতে জানুয়ারি মাসে ব্রিগেডে আরও বড় সমাবেশ করবে তৃণমূল কংগ্রেস
বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার উন্নয়নের অর্থ জোগাড় করতে পারছে না। এর জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বলেন, "দরকারে ছবি এঁকে টাকা জোগাড় করব। তবু নিজেকে বিকিয়ে দেব না। কারও কাছে হাত পাততেও রাজি নই।"
লক্ষণীয়, সমাবেশে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলে যাচ্ছিলেন, "জলপাইগুড়িতে তৃণমূল, বোলপুরে তৃণমূল, পুরুলিয়াতে তৃণমূল, কলকাতাতে তৃণমূল, কৃষ্ণনগরে তৃণমূল।" যখনই দার্জিলিং এবং আসানসোলের নাম আনলেন, তখন গলার স্বর আরও চড়িয়ে, হাত ঝাঁকিয়ে 'তৃণমূল' শব্দটা উচ্চারণ করলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই দু'জায়গায় বিজেপি শক্তি বাড়ালেও তারা কতটা 'অপ্রাসঙ্গিক', তা বোঝাতে তিনি এটা করেছেন।
পাশাপাশি, আগামী জানুয়ারি মাসে ব্রিগেডে তৃণমূল কংগ্রেস আরও বড় সমাবেশ করবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারিখ পরে জানানো হবে।
এ দিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন টলিউডের শিল্পীরা। দলের সাংসদ হওয়ার সুবাদে দেব, শতাব্দী রায় তো ছিলেনই, দেখা গিয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক, জুন মালিয়া, অরিন্দম শীল প্রমুখকে। নিজের ভাষণ শেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে ডেকে নেন অশীতিপর লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীকে। অসুস্থ থাকায় তাঁকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে মঞ্চে তুলে আনেন তৃণমূল কর্মীরা।
আজকের সমাবেশে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন চন্দ্রকোণার সিপিএম বিধায়ক ছায়া দলুই। এ ছাড়াও তিন কংগ্রেস বিধায়ক যথাক্রমে হাসানের অসিত মাল, গোয়ালপোখরের গোলাম রব্বানি এবং পারার উমাপদ বাউড়ি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ক্ষীরপাই পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ চারজন কাউন্সিলরও যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।