কাকদ্বীপে দম্পতি 'খুনে' হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! 'অস্বস্তিতে পড়া' তৃণমূলের নানা প্রশ্ন
প্রায় পাঁচ বছর আগে স্বামী-স্ত্রী ২ সিপিআইএম কে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগের ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠনের নির্দেশ জেওয়া হয়েছে। নির্দেশে দিলেন তৃণমূলে অপছন্দের তালিকায় থাকা বিচ
প্রায় পাঁচ বছর আগে স্বামী-স্ত্রী ২ সিপিআইএম কে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগের ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠনের নির্দেশ জেওয়া হয়েছে। নির্দেশে দিলেন তৃণমূলে অপছন্দের তালিকায় থাকা বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
পাশাপাশি শাসকদল এনিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নও তুলেছে।
২০১৮ সালের ঘটনা
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে ১৪ মে কাকদ্বীপে খুন করা হয় দেবু দাস ও ঊষারানি দাসকে। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। নিজেদের কাঁচা বাড়িতে পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলে দীপঙ্কর দাস অভিযোগ করেন, সিপিআইএম করা দম্পতি তৃণমূলে না যোগ দিতে চাওয়ায় খুন করা হয় তাঁদেরকে। পরিবারের আরও অভিযোগ ছিল, প্রথমে এফআইআর নেওয়া হয়নি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর করা হয়। ছেলে অভিযোগ করেছিলেন, কেটারিংয়ের কাজ সেরে ফেরার সময় তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমিত মণ্ডল এবং অশোক মণ্ডলের মতো কয়েকজনকে তাঁদের বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে দেখেছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
যদিও সিপিআইএম এবং পরিবারের করা অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্যের শাসক তৃণমূল। তাদের পাল্টা দাবি ছিল শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেই এই মৃত্যু হয়। যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝড় বৃষ্টির কারণে সেদিন রাত এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। পরে দেখা যায়, পুলিশ অভিযুক্ত ১০ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট পেশ করে। এক্ষেত্রে মূল অভিযুক্তদের খালাস করে দেওয়া হয় বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবার ও সিপিআইএম-এর।
সিট গঠনের নির্দেশ বিচারপতির
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুড়ে মৃত্যুর উল্লেখ থাকলেও, চার্জশিটে বলা হয় গলায় ফাঁস দিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ফলে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট ও তদন্তের মধ্যে অসামঞ্জস্য খুঁজে পান বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বিচারপতি নির্দেশ দেন দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন করতে হবে। সেই সিট পুরো ঘটনার তদন্ত করবে। সিটের রিপোর্টের ওপরেই চলবে বিচার প্রক্রিয়া। পাশাপাশি বিচারপতি নির্দেশে বলেছেন, চার্জশিটের ওপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। অন্যদিকে নিম্ন আদালতেও বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হবে।
তৃণমূলের নানা প্রশ্ন
সাম্প্রতিক সময়ে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার একের পর এক নির্দেশ ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পরবর্তী সময়ে তাঁর বাড়ির সামনে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা পোস্টার দেয়। তাঁর এজলাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। সেই পরিস্থিতিতে বিচারপতি মান্থার নির্দেশে নিয়ে তৃণমূল বলেছে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও তো সিট গঠন হয়েছিল। সেই মামলাগুলোর কী অবস্থা, জানতে চাইলে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তবে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সিপিআইএম।