বিজেপির ক’টা গোষ্ঠী বাংলায়, দিলীপ ঘোষকে ‘জিজ্ঞাসা’ করলেন তৃণমূল সাংসদ
বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলার মানুষকে ভিখারি বলে কটাক্ষ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষকে ভিখারি করে ছেড়েছে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলার মানুষকে ভিখারি বলে কটাক্ষ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষকে ভিখারি করে ছেড়েছে। আর তার পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিজেপির ক'টা গোষ্ঠী সেটা আগে বলুন দিলীপবাবু!
শান্তনু সেন দিলীপ ঘোষের কথরা প্রতুত্তরে বলেন, দিলীপবাবু সর্বদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকর প্রকল্পের সমালোচনা করেন। আর তাঁর পরিবার সেই প্রকল্পের সুবিধা নেন। আসনে ওনার মধ্যে বাংলা বিদ্বেষী একটা ব্যাপার আছে। আসলে ওদের কপালে চিন্টার ভাঁজ পড়েছে। চিকিৎসক হিসেবে বলছি, সব অসুখের ওষুধ আছে। কিন্তু হিংসার কোনও ওষুধ নেই।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতিকে পরামর্শ দেন, দিলীপ ঘোষের আগে ভাবা উচিত কতগুলো গোষ্ঠী ওনাদের দলে। সুকান্ত মজুমদার সভায় গেলে শুভেন্দু অধিকারী চলে যান। দিলীপ ঘোষ নিজে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে। আবার সৌমিত্র খাঁ বলেন, বর্তমান রাজ্য সভাপতি অযোগ্য। আসলে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ওঁরা নিজেরা নিজেদের মতো কথা বলছেন।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন আরও মনে করিয়ে দেন, দিলীপবাবুরা দুয়ারে সরকারের সময় বলেছিলেন যমের দুয়ারে সরকার। এখন আবার সেই দুয়ারে সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রও। দুয়ারে সরকার ভারত সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছে এবার। এখন বিজেপির বেলুন চুপসে গিয়েছে। এখন আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিয়ে নানা কথা বলছেন বিজেপির নেতারা।
শুধু শান্তনু সেন একা নন, দিলীপ ঘোষের বাংলা-বিদ্বেষী মন্তব্যের সমালোচনা করেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, বাংলার মা-বোনেদের অপমান করেছেন দিলীপ ঘোষ। শ্রমজীবী মানুষের কতটা কষ্ট তিনি জানেন না। লকডাউন-করোনার সময় সামাজিক সুরক্ষা দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এসব যদি দিলীপবাবুর মাথায় ঢুকত তাহলে দিলীপবাবু গরুর দুধ থেকে সোনা বেরনোর কথা বলতেন না।
দিলীপ ঘোষ বলছেন বাংলার মানুষ ভিখারি হয়ে গিয়েছে। কেননা তাঁরা রাজ্যের দেওয়া ৫০০ টাকা অনুদান পেতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। আর সুকন্ত মজুমদার বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০০ টাকা দিয়েছেন। ওই টাকায় কিছু হয় নাকি, আমরা ক্ষমতায় এলে ২০০০ টাকা দেব। এদিকে দুজনের কথাই সঠিক বলে ব্যাখ্যা করেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ বা সুকান্ত মজুমদার যা বলেছেন দুটোই পার্টির লাইন। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ২০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সে কথা বিজেপি আগেই বলেছিল। আর দিলীপ ঘোষও যেটা বলেছেন, একেবারে ঠিক কথা। ৫০০ টাকা করে দিয়ে ভিক্ষাই দিচ্ছেন সরকার। ৫০০ টাকায় এখন কিছুই হয় না। তাই আমরা ২০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছিলাম।