হঠাৎ ‘বিদ্রোহী’ মুকুল-‘অনুগামী’ বিধায়ক, মমতার সরকারের বিরুদ্ধে ছাড়লেন ‘পঞ্চবাণ’
রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তথা বিধানগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত তোপ দাগলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর তোপের হাত থেকে বাদ গেলেন না স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
হঠাৎ 'বিদ্রোহী' তৃণমূল বিধায়ক। রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তথা বিধানগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত তোপ দাগলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর তোপের হাত থেকে বাদ গেলেন না স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মিসভায় বেফাঁস মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন তিনি। একদা মুকুল রায় অনুগামী বলে পরিচিত এই বিধায়ক নিজের দলের সরকারকে নিশানা করার পিছনে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস।
[আরও
পড়ুন:'দানা'র
বদলে
'দানা',
লাঠির
বদলা
লাঠি,
কার
উদ্দেশ্যে
এমন
হুঙ্কার
গৌতমের]
সাধারণত
বিরোধী
দলের
নেতাদের
মুখে
যে
কথা
শোনা
যায়,
সেই
কথাই
প্রতিধ্বনিত
হল
তৃণমূল
বিধায়কের
মুখে।
সরকারের
বিরুদ্ধে
তোপ
দেগে
বলেন,
অনেক
জিনিস
তাঁরা
মেনে
নিচ্ছেন
নিজেদের
সরকার
বলে।
তৃণমূল
নিয়ন্ত্রিত
রাজ্য
বিদ্যুৎ
পর্ষদের
সভায়
প্রকাশেই
বিধায়ক
পঞ্চবাণে
বিদ্ধ
করেন
তাঁর
দলকে।
একের
পর
এক
তোপ
দেগে
বিতর্কের
সূত্রপাত
করলেন।
কী কী বাণ ছাড়লেন তিনি?
ঘুষের সরকার চলছে : সব্যসাচীর অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের আমলেও ঘুষের রাজত্ব চলছে। টাকার বিনিময়ে পদপ্রাপ্তীর ধারা তৃণমূলের আমলেও বর্তমান। এখানে ঘুষ দিয়ে বড় পদ পাওয়া যায়। প্রশাসনিক স্তরে প্রতিনিয়ত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঘুষের কারবার চলে বলে তাঁর অভিযোগ।
কাক যদি মাথায় প্রাতঃকৃত্য করে : কার্যত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হুমকি দিয়ে রাখলেন বিধানগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। দলের সরকারের জন্য সবকিছু মাথা পেতে সহ্য করে নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু কাক যদি মাথায় প্রাতঃকৃত্য করে, তবে মাথাটা অন্তত মুছে নিতে হবে।
মহার্ঘভাতা অমিল, ঘুষের কারবারই দায়ী : অনেক বড় বড় পদ ঘুষ দিয়েই পেয়েছে অনেকে। বাম আমলের পর তৃণমূল আমলেও তা চলছে। আর এই কাঁড়ি কাঁড়ি ঘুষের টাকা পদাধিকারীদের পকেটে ঢুকছে বলেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কর্মীরা মহার্ঘভাতা পর্যন্ত পাচ্ছে না। কর্মীদের দাবি আদায়ে তাঁরা মন্ত্রীর কাছে দরবার তো করবেনই, রাস্তায় নেমে আন্দোলন গড়ে তুলতেও পিছপা হবেন না।
মমতা আগে দলনেত্রী, পরে মুখ্যমন্ত্রী : সরকার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা তাই জানি। আর সেই কারণেই সরকারের জন্য সবকিছু মাথা পেতে নিই। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে আমাদের দলনেত্রী, তারপর মুখ্যমন্ত্রী। আমরা তাই দাবি আদায়ে আগে বিদ্যুৎমন্ত্রীর কাছে যাব। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করব।
ওদের পার্টির নাম পিএসপি : তৃণমূলে এখন এক শ্রেণির ভিড় জমেছে। তারাই যত সমস্যা করছে। বিগত দিনে যারা সিপিএম করত, এখন ভিড়েছে তৃণমূলে। শুধু জমা বদল করেছে তারা, তাদের চরিত্র বদল হয়নি। পাশে একটা জামা তারা রেখে দিয়েছে। গেরুয়া জামা। সময় মতে সেটা পরে নেবে। আসলে ওরা কোনও দল করে না, ওদের পার্টির নাম পিএসপি পার্টি। মান পরম সুবিধাবাদী পার্টি।
[আরও পড়ুন:মোদীর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে মিলেছিল নেত্রীর তকমা, এখন তিনিই বিজেপির 'তুরুপের তাস']