নারদ-কাণ্ডে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের, তলব করা হল ইকবাল আহমেদকে
আগেই নারদ-কাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশে ১১ জন তৃণমূল নেতা-নেত্রীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। কিন্তু এফআইআর দায়েরের পরও তদন্তে সে অর্থ কোনও অগ্রগতি হচ্ছিল না।
নারদকাণ্ডে আরও অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। সিবিআই এবার শুরু করে দিল অভিযুক্তদের তলব পক্রিয়া। নারদ-তদন্তে সিবিআই প্রথম তলব করল কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদকে। আগামী ১০ জুন অর্থাৎ শনিবার তাঁকে সিবিআই কার্যালয় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগেই নারদ-কাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশে ১১ জন তৃণমূল নেতা-নেত্রীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। কিন্তু এফআইআর দায়েরের পরও তদন্তে সে অর্থ কোনও অগ্রগতি হয়নি। দু'দিন আগেই তৃণমূল সসাংসদ অপরূপা পোদ্দারের করা মামলার শুনানিতে সিবিআইকে মৃদু ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলসের বয়ান কেন রেকর্ড করা হয়নি সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।
সেইসঙ্গে তিনি সিবিআই আইনজীবীদের জিজ্ঞাসা করেন, অভিযুক্তরা টাকা চেয়েছিলেন? নাকি, নারদ কর্তা তাঁদের টাকা দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নেরও সদুত্তর দিতে পারেননি। সেই কারণেই দু'সপ্তাহ সময় দিয়ে জানানো হয়, অবিলম্বে নারদ কর্তার বয়ান রেকর্ড করতে হবে। তদন্ত অগ্রগতি আনতে হবে।
এমতাবস্থায় এখনও নারদ কর্তার বয়ান রেকর্ড করা না হলেও, তদন্তে অগ্রগতি আনতে তৃণমূল নেতাকে তলব করে ফের নারদ মামলায় গতির সঞ্চার করল সিবিআই। ইকবাল আহমেদকে তলব করলে তৃণমূলে যেমন অস্বস্তি বাড়বে, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চাপে থাকবেন।
স্বভাবতই একটা প্রশ্ন সমস্ত অভিযুক্তের মনে আসবে, এর পরে কাকে তলব করবে সিবিআই। এর আগেও ইকবাল আহমেদকে নারদ মামলায় তলব করা হয়েছিল। সেবার কলকাতা পুলিশ তাঁকে লালবাজারে তলব করে। নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।