বিমানবন্দরে ‘বন্দি’ টিম-তৃণমূল, কলকাতায় ফিরেই গর্জন ফিরহাদের- ‘আবার অসম যাব’
প্রতিবাদ থামবে না, আমরা আবার অসমে যাব। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে বেনজিরভাবে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলবে। বললেন ফিরহাদ হাকিম।
প্রতিবাদ থামবে না, আমরা আবার অসমে যাব। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে বেনজিরভাবে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলবে। শুক্রবার দমদম বিমানবন্দরে নেমে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গর্জে উঠলেন। তিনি জানান, নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমরা আবার অসম যাওয়ার দিন স্থির করব।
গুয়াহাটি পৌঁছতে না পেরে শিলচর বিমানবন্দরে রাত্রিযাপন করার পর এদিন সকালে কলকাতায় ফিরে আসেন তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কলকাতায় ফিরে তারা বলেন, দেশে এখন অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। সংসদীয় দলকে অন্যায়ভাবে আটকে বিজেপি প্রমাণ করল দেশে আইনের শাসন নেই।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, তৃণমূলকে এভাবে আটকে রাখা যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আমরা পরবর্তী রণনীতি স্থির করব। সংসদ-মন্ত্রী-বিধায়কদের এই দল জানায়, তাঁদের জোর করে বিমানবন্দরে থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরে আটকে রাখে রাজ্য পুলিশ। এর ফলে দু-পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। তারপর বিমানবন্দরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। অসম পুলিশের সাফাই ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের আটকানো হল। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল এরপর অসমের বিজেপি সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন।
[আরও পড়ুন: বিমানবন্দরেই উগরে দিলেন ক্ষোভ, অসম থেকে কলকাতা ফিরল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিল্লি থেকে ক্ষোভ উগরে দেন, তিনি বলেন, ভারতের এ ধরনের ছবি আগে দেখা যায়নি। যেখানে সাংসদ-মন্ত্রী-বিধায়কদের এভাবে আটকানো হয়। রাতে তাঁদের বিমানবন্দরের লাউঞ্জে কাটাতে হয়। মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করেন, তাঁদের অন্যায়ভাবে আটকানোর বিষয়টি।