খাস কলকাতায় তৃণমূলে ভাঙন, রাহুলের হাত ধরে বিজেপিতে প্রাক্তন সম্পাদক-সহ ৩০০ জন
লোকসভা ভোটের আগে কলকাতা উত্তর কেন্দ্র শক্তি বাড়াল বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার হাত ধরে তিন শতাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে।
লোকসভা ভোটের আগে কলকাতা উত্তর কেন্দ্র শক্তি বাড়াল বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার হাত ধরে তিন শতাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। রবিবার বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল সিনহা বলেন, চৌরঙ্গী-বেলেঘাটা ও জোড়াসাঁকো বিধানসভা এলাকা থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঢল পড়ে যায়।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে কমল সিং
রাহুল সিনহা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কলকাতা জেলা প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কমল সিংয়ের নেতৃত্বে তাঁরা যোগদান করলেন। এদিন বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র হাত থেকে তাঁরা বিজেপির পতাকা তুলে নেন। রাহুল সিনহা বলেন, এই দলে বহু লোক ছিলেন, সবাইকে আমরা জায়গা দিতে পারিনি।
তৃণমূল কংগ্রেসে ঘূণ ধরেছে : রাহুল
রাহুল সিনহা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে ঘূণ ধরে গিয়েছে। মানুষ এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে রাজ্যে সুশাসন দিতে পারে একমাত্র বিজেপি। সেই কারণে তলে তলে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ সামনাসামনি এসে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, কেউ ভিতরে ভিতরে বিজেপি করছেন।
বিজেপিই জিতবে : রাহুল
রাহুল সিনহা দাবি করেন, এবার তাঁরাই জিতবেন। ২৩ মে ভোটের ফল প্রকাশের পরই তৃণমূল বুঝতে পারবে সব। মানুষ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছেন না। মোদীজির হাত ধরে সারা দেশে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। বাংলার মানুষও চাইছেন মোদীজির হাত শক্ত করতে।
[আরও পড়ুনছেলে প্রিয়দীপকে নিয়ে মিছিলে দীপা, রায়গঞ্জে রবিবাসরীয় প্রচার ভাসল প্রিয়-আবেগে]
ফের প্রধানমন্ত্রী মোদী : কৈলাশ
রাজ্যের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, দেশে ফের মোদী সরকার হবে। রাজ্যেও সেই হাওয়া বইছে। সবেমাত্র এক দফার ভোট হয়েছে, মানুষ বুঝতে পেরে গিয়েছে, বিজেপি ছাড়া গতি নেই। এ রাজ্যেও বিজেপিকে চাই। তাই তৃণমূল নেতারা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে বিজেপির শক্তি বাড়ালেন।
[আরও পড়ুন:ভোট কি তবে একে-৪৭ নিয়ে হবে! সংস্কৃতির প্রশ্নে মমতাকে কড়া জবাব দিলীপের]
[আরও পড়ুন:পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর সব রকমের আপডেট পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে]