যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এভিবিপি-র উত্থান নিয়ে বামপন্থীদের কটাক্ষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের!
প্রথমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল দুর্গে প্রার্থী দিয়ে আশাতীত সাফল্য দেখেছে অখিল ভারতীয় বিদ্য়ার্থী পরিষদ। প্রথমবার নির্বাচন লড়েই যাদবপুর ক্যাম্পাসে অখিল ভারতীয় বিদ্য়ার্থী পরিষদের জায়গা করে নেওয়া নিয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই নিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাম সংগঠনগুলিকে কটাক্ষ করে বলেন, যারা নিজেদের বামপন্থী বলে পরিচয় দেয় তারা ভাবুক ক্যাম্পাসে এভিবিপি কী ভাবে ঢুকল।
এভিবিপির আসন পাওয়া নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই বলে জানালেন পার্থ
তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবিভিপি কয়েকটি আসন জেতাকে গুরুত্ব দেওয়ারও কিছু নেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ বরাবরই বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীদের দখলে থাকে। সেই যাদবপুরেই এই প্রথমবার এভিবিপি তাদের প্রার্থী দাঁড় করায় নির্বাচনে।
যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এসএফআই-কে টপকে দ্বিতীয় স্থানে এভিবিপি
বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে এক চাপানউতোর ছিল ক্যাম্পাসে। সেই অবস্থায় দেখা যায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এসএফআই-কে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে এভিবিপি। যদিও সেই বিভাগে শেষ পর্যন্ত প্রথম স্থান পায়নি এবিভিপি। প্রথম স্থানে ছিল অতি বামপন্থী সংগঠন ডিএসএফ।
যাদবপুরের কলা বিভাগেও দুটি আসন পায় এবিভিপি
এরপর প্রকাশ্যে আসে কলা বিভাগের ফল। কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ আবার এসএফআই-র। কিন্তু দুটি আসন জেতে এভিবিপি-ও। এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দুটোই আসন জিতেছে এই নিয়ে এত লাফানোর কিছু নেই। তবে বামপন্থীরা ভাবুক ক্যাম্পাসে এভিবিপি কী ভাবে ক্যাম্পাসে ঢুকল।
বামপন্থীদের কটাক্ষ পার্থর
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, '৮০০ থেকে ১২০০ আসন রয়েছে কলা বিভাগে। তার মধ্যে ২টি আসন জিতেছে এবিভিপি। আমার কাছেও খবর আছে কলা বিভাগে আমাদের ছাত্র পরিষদ ২৫টা জিতেছে। ২ থেকে ২৫ - সংখ্যাটা কম না বেশি বুঝতে পারছি না। হঠাৎ এভিবিপি-কে নিয়ে লাফানোর কী আছে? আমাদের তো কিছুই ছিল না। বরং যাঁরা বামপন্থী এবং অতিবামপন্থী হিসেবে নিজেদের মনে করেন তাঁরা কীভাবে তাঁদের দরজার মধ্যে এভিবিপি-কে ঢোকালেন, তা ভাবুক ওরাই।'