হাসপাতালে মৃত্যু গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার! তরজা শুরু দুই নেতার
বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল তৃণমূল নেতা সতীশ মিশ্রের। সোমবার দুষ্কৃতী হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। বাঁদিকের পাজড়ে গুলি লেগেছিল। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, অস্ত্রোপচার সফল হয়নি।
বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল তৃণমূল নেতা সতীশ মিশ্রের। সোমবার দুষ্কৃতী হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। বাঁদিকের পাজড়ে গুলি লেগেছিল। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। এরপর সোমবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ওই নেতার। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটা। পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনীশ শুক্লার সঙ্গেই ছিলেন সতীশ মিশ্র নামে ওই যুব নেতা। সেই সময় দুই দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গুলি লাগে সতীশ মিশ্রের বুকের বাঁ-দিকে। তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং-এর অভিযোগ, টার্গেট ছিলেন যুব নেতা মনীশ শুক্লা। ঘটনায় ভোলা নামে সিপিএম আশ্রিত এক দুষ্কৃতীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
অন্যদিকে জেলার পর্যবেক্ষক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, যারা আমডাঙায় অস্ত্র ও বোমা নিয়ে গণ্ডগোলের চেষ্টা করেছিল, তারাই এই হামলার পিছনে রয়েছে। এর আগে আমডাঙা কাণ্ডে সরাসরি সিপিএমকেই দায়ী করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নিয়ে আসার জন্য সিপিএমকে অভিযুক্ত করেছিলেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে সিপিএম-এর কোনও বক্তব্য পাওয়া না গেলেও, ঘটনায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গত বেশ কিছুদিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনাই হোক কিংবা বীরভূম, তৃণমূল নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। দিলীপ ঘোষের দাবি, রাজ্যের পুলিশকে বাদ দিয়ে অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করালেই ঘটনাগুলির পিছনে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসবে।
এই হামলা ও হত্যার ঘটনায় এলাকা থেকে অভিযুক্ত ভোলা-সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সমীর ও সঞ্জয় নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার টিটাগড়ে তৃণমূল নেতার ওপর হামলার পর স্থানীয় বিজেপি অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সোমবার ভোররাতে এই নেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকাল থেকে থমথমে গোটা এলাকা। পরিস্থিতির মোকাবিলায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকা জুড়ে।