তৃণমূলের থেকে মারাত্মক বামেরা! বাংলা নিয়ে আরএসএস-এর অবস্থান 'স্পষ্টে' জল্পনা
সরাসরি বিজেপি তিনি করেননি। সম্প্রতি নজরুল মঞ্চে দলীয় কর্মসূচিতে বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মাস চারেক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে আরএসএস নিয়ে প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। অন্যদিকে আরএসএস যে তাঁকে
সরাসরি বিজেপি তিনি করেননি। সম্প্রতি নজরুল মঞ্চে দলীয় কর্মসূচিতে বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মাস চারেক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে আরএসএস নিয়ে প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। অন্যদিকে আরএসএস যে তাঁকে পছন্দ করে এবং দুর্গা বলে মনে করে তা কারও অজানা নয়।
এবার সেই আরএসএসের মুখপত্রে তুলনা করা হল তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের। স্বাভাবিকভাবেই তাদের পছন্দের তালিকায় রাজ্যের শাসকদলই।
আরএসএস খারাপ নয়
মাস চারেক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আরএসএস এত খারাপ ছিল না। বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর তুলনায় তিনি বলেছিলেন, তারা এত খারাপ বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন ওদের মধ্যে কিছু ভদ্রলোক রয়েছেন, যাঁরা বিজেপিকে ওভাবে সমর্থন করেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্তুতির পরেই রাজ্য সিপিআইএম-এর সম্পাদক মহঃ সেলিম বলেছিলেন ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে।
সরাসরি বিজেপি করেননি
বাম-কংগ্রেসের তরফে বারে বারে বিজেপি-তৃণমূল সেটিং তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারে বারে দিল্লি যাওয়া, নবান্নে অমিত শাহের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করা নিয়ে সরব বাম-কংগ্রেস। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মামলায় তদন্তের ধীরগতির অভিযোগও উঠেছে। গত সোমবার নজরুল মঞ্চে দলীয় কর্মসূচিতে এব্যাপারে জবাব দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কোনওদিন সরাসরি বিজেপি করেননি।
আরএসএস মুখপত্রে তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেসকে নিয়ে অবস্থান
আরএসএস-এর মুখপত্র স্বস্তিকার ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ সংখ্যার ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, সিপিএম আর কংগ্রেস নিভে যাওয়া প্রদীপ। শাহ ইঙ্গিত করেছেন, মানুষ যেন বামেদের দিকে না ঝোঁকেন। পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে সেটা তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকার থেকেও মারাত্মক হবে। যেভাবেই হোক তা প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। মৃত্যু ঘন্টা না বাজালেও পোড়া নগরে মমতার দেবালয় বাঁচবে না শিরোনামে একথাই উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর সনদ হেঁকে রাজ্যের বিজেপি নেতারা তৃণমূল সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বাজিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত তার কিছু হয়নি। সংঘের এই সমালোচনা লক্ষ্য যে বিজেপি নেতারা তা বুঝতে অসুবিধা নেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। রাজ্য বিজেপির সব নেতাই কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখাপেক্ষি বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সেখানে।
মমতার শাসনে বেড়েছে আরএসএস
গত ১১ বছর রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে বাংলায় বেড়েছে আরএসএস-সহ বিভিন্ন হিন্দুবাদী সংগঠনের শক্তি। শাখার সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে সংঘ। যা কোনওভাবেই বামেদের ৩৪ বছরের শাসনে সম্ভব হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে আরএসএস-এর মুখপত্রে করা মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাহলে কি কোথাও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে গেরুয়া শিবিরে এবং বামেদের সাম্প্রতিক রাস্তায় নেমে আন্দোলনে কি বিজেপি কিংবা গেরুয়া শিবিরে ভোট ব্যাঙ্কে বড় প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কীভাবে হার্ট অ্যাটাক এড়ানো যেতে পারে, কী বলছে গবেষণা