হজ হাউসের নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব', উত্তপ্ত পার্কসার্কাস
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তপ্ত পার্কসার্কাস। রবিবার সকালে কড়েয়া থানা এলাকায় হওয়া এই সংঘর্ষে তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। পোড়ানো হয় বাইক।
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তপ্ত পার্কসার্কাস। রবিবার সকালে কড়েয়া থানা এলাকায় হওয়া এই সংঘর্ষে তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। পোড়ানো হয় বাইক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
উপলক্ষ্য হজ হাউসের পরিচালন কমিটির নির্বাচন। ভোটদাতা ২১৪ জন। আসন সংখ্যা ১৪। তিন বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয় প্রতিনিধিদের। সেই নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই কড়েয়া থানার অধীন পার্কসার্কায় এলাকায় ছিল সাজ-সাজ রব। সঙ্গে টেনশনও ছিল এলাকায়। কেননা কোনও বিরোধীদল দল নয়, নির্বাচনের দুটি গোষ্ঠীর একটির নেতৃত্বে তৃণমূলের জাভেদ কান এবং অপর গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ইকবাল আহমেদ। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সকালে নির্বাচন চলাকালীন হজ হাউস থেকে বেরিয়ে আসেন জাভেদ আহমেদ খান। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন তিনি। এর পরেই এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। কড়েয়া থানা এলাকার একাধিক রাস্তায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দুই গোষ্ঠী। এলাকা জুড়ে সংঘর্ষে ব্যবহৃত বড়বড় পাথর রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দখলে থাকা দুটি পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পার্টি অফিসের সামনে রাখা বাইকেও ব্যাপক ভাঙচুর চলে। বাইকে আগুন লাগিয়েও দেওয়া হয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। যে রাস্তায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে সেখানেই পৌঁছনোর চেষ্টা করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হয়েছেন বলে খবর।