বিদ্রোহী ২ সাংসদকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, নেপথ্যে কার হাত স্পষ্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়
ফেসবুকে বিদ্রোহের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সৌমিত্র খান নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপিতে। তারপরই দলের আর এক বিদ্রোহী সাংসদ অনুপম হাজরাকেও বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
একদিন আগেই ফেসবুক লাইভে এসে বোমা ছেড়েছিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাসংদ সৌমিত্র খাঁ। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তিনি নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপিতে। তারপরই দলের আর এক বিদ্রোহী সাংসদ অনুপম হাজরাকেও বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কড়া বার্তা দেন। কিন্তু কেন লোকসভার আগে এত বড় সিদ্ধান্ত?
সোশাল মিডিয়ায় ভূমিকা দলের বিরুদ্ধে
তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, অনুপম হাজরা গত এক বছর ধরে সোশাল মিডিয়ায় দল বিরোধী নানা প্রচার করছিলেন। তার ভূমিকা দলের বিরুদ্ধে যাচ্ছিল। তাই এই কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হল। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খানের পাশাপাশি বোলপুরের সাসংদ অনুপম হাজরাকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
|
দলত্যাগী সৌমিত্র খানে সমব্যাথী ‘বন্ধু’
সৌমিত্র খানের দল ছাড়ার পর টুইট এদিন সৌমিত্র খান দল ছাড়ার পর বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা টুইট করে জানান, গত চার বছর ধরে জেলায় একটা'ও কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ডাক না পেয়ে'ও জেলাতে দিদির প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখি। আর তুই পারলি না। শকিং! যাই হোক, ভালো থাকিস বন্ধু!
|
নিজের কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণায় টুইট
এর আগে সাংসদ আনুপম হাজরা তাঁর নিজের কেন্দ্রেই ২০১৯-এর প্রার্থীর নাম আগাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। টুইট করে নতুন প্রার্থীর নাম জানানোই শুধু নয়, তাঁকে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। বিতর্কিত সাংসদ হিসেবে দলের অন্দরে পরিচিত অনুপম হাজরা। এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় তিনি দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন, নিজেকে নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছেন। এবারও তিনি আগাম লোকসভার প্রার্থীর নাম জানিয়ে জল্পনা বাড়ালেন।
সৌমিত্রর মতো অনুপমও বুঝেছিলেন
বোলপুর কেন্দ্রের সাংসদ তিনি। সেই তিনিই তাঁর কেন্দ্রের দলের অন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন। তিনিও বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁকে আর এবার দল পার্থী করছে না। তাই আগেভাগে দলের প্রার্থীর নাম জানিয়ে দলকে বার্তা দিলেন! তাঁর টুইটের পর থেকেই চর্চা শুরু হয়েছিল। এবার সৌমিত্র দল ছাড়ার পর অনুপমের বার্তায় অন্য গন্ধ পেয়েই আগেভাগে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল তৃণমূল।
অনুশাসন না মেনেই বহিষ্কৃত
ফেসবুক ও টুইটারে অনুপমের বিভিন্ন পোস্টের প্রভাব যে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে পড়তে পারে, তা আগাম অনুমান করা হয়েছিল। আর এদিন সেই সোশাল মিডিয়ায় পোস্টের জন্যই বহিষ্কৃত হতে হল তাঁকে। সৌমিত্র খানকে নিয়ে তৃণমূল সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি করে ফেলেছিল, কিন্তু অনু ব্যাপারে দেরি করল না দল। দলের অনুশাসনের পরিপন্থী হয়েই বহিষ্কৃত হলেন তিনি। সৌমিত্র খানও ফেসবুকে সরব হয়ে দলে কলকে না পেয়ে গেলেন বিজেপিতে।