তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিজের অফিসেই, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
কলকাতায় নিজের অফিসেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের ছেলের। পুলিশ এসে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মৃতের নাম পিন্টু শীল। তিনি প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা করতেন। কিন্তু কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল তা নিশ্চিত নয়।
কলকাতায় নিজের অফিসেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের ছেলের। পুলিশ এসে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মৃতের নাম পিন্টু শীল। তিনি প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা করতেন। কিন্তু কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল তা নিশ্চিত নয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে, বলছে পুলিশ।
কলকাতা পুরসভার ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জিত শীল। তাঁর ছেলে পিন্টু শীলের প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা ছিল। গার্ডেনরিচে তাঁর অফিস। নিজের অফিস থেকে তাঁর দেহ উদ্ধারের পর তার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। কী কারণে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে মেটিয়াব্রুজ থানার পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই অফিসে কয়েকজন তাঁকে ডাকতে এসেছিলেন। তাঁরাই দখনে পিন্টু শীলের দেহ ঝুলছে অফিসের ভিতরে। তারপর পুলিশকে জানানো হয়, পরিবারের লোক ও স্থানীয়দের জানানো হয়। প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানকরা চিকিৎসরকা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। ঠিক কী কারণে পিন্টু আত্মঘাতী হলেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। কেননা তেমন কোনও অশান্তিও হয়নি। সমান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য পিন্টু আত্মঘাতী হবে, তা ভাবা যায় না। তাহলে কী কারণ, তার অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। স্থানীয়রাও জানান, পিন্টুকে স্বাভাবিকই দেখা গিয়েছে। কথাও বলেছেন স্বাভাবিক।
স্থানীয়রা সবাই যখন আসেন, তখন দেহ নামানো হয়েছিল। প্রথমে সবাই ভেবেছিলেন মদ্যপান করে সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে রয়েছে। পরে তাঁরা জানতে পারেন আসল ঘটনা। স্থানীয়দের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, সবই যদি ঠিক ছলি কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন পিন্টু? কেন এমন পথ বেছে নিলেন। একজন বলেন, গতকালই তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল, স্বাভাবিকই ছিলেন, কোনও টেনশন ছিল না তাঁর মধ্যে। অফিসের পাশেই য়ে সমস্ত প্রতিবেশীরা রয়েছেন, তাঁরা বলেন, ভালোই ছিলেন, তাহলে কেন আত্মহত্যা করলেন বোঝা যাচ্ছে না।
শনিবার দিনভর খবরের শিরোনামে ছিল গার্ডেনরিচে। গার্ডেনরিচের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয় ১৭ কোটির বেশি টাকা। ইডির ওই টাকা উদ্ধার নিয়ে সকাল থেকেই গার্ডেনরিচ ছিল উত্তপ্ত। একেবারেই সাডামাটা একটা বাড়িতে যে এমন যকের ধন লুকিয়ে রয়েছে, তা বুঝতে পারেনি কেউই। টাকা উদ্ধারের আগেই পলাতক ব্যবসায়ী। এর অদ্যাবধি পরেই তৃণমূল কাউন্সিলরের দেহ উদ্ধার হয় গার্ডেনরিচে তাঁর নিজস্ব অফিস থেকে।