কলকাতার পুর-যুদ্ধে শেষ হাসি কে হাসতে চলেছে, ফলাফলের অপেক্ষায় প্রহর গোনা শুরু
তৃণমূল কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে জিততে চলেছে, তা নিয়ে সংশয় নেই বিজেপি বা অন্য বিরোধীদেরও। কিন্তু তৃণমূল যে বিপুল জয়ের প্রত্যাশী, তা নিয়ে বিরূপ মনোভাব পোষণ করছেন বিরোধীরা।
তৃণমূল কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে জিততে চলেছে, তা নিয়ে সংশয় নেই বিজেপি বা অন্য বিরোধীদেরও। কিন্তু তৃণমূল যে বিপুল জয়ের প্রত্যাশী, তা নিয়ে বিরূপ মনোভাব পোষণ করছেন বিরোধীরা। তাঁদের আশা, যতই বুথ ফেরত সমীক্ষায় তৃণমূলের পক্ষে ৯০ শতাংশ আসন প্রাপ্তির আভাস দেওয়া হোক, এবার আর খালি হাতে ফিরবেন না তারা।
কলকাতা পুরভোটে ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ২০১৫-য় ১১৪ আসনে জিতেছিল। আর বামেরা পেয়েছিল ১৬ আসন। বিজেপি ও কংগ্রেস যথাক্রমে ৭ ও ৫টি আসনে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ১৩২, বিজেপি ১১ এবং কংগ্রেস মাত্র ১টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল। সমীক্ষায় আভাস তেমনই তৃণমূল ১৩০ থেকে ১৩৫ আসন পেতে পারে। আর বাকি আসন বিজেপির।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে কোনও ওয়ার্ডেই এগিয়ে নেই বামেরা। কংগ্রেস যদিও বা ১টি আসনে এগিয়েছিল, সমীক্ষা বলছে সেটিও হারাতে চলেছে তারা। বাম বা কংগ্রেস কিন্তু প্রত্যয়ী বেশ কিছু আসনে কলকাতা পুরসভায় জেতার ব্যাপারে। সমীক্ষকরা যা বলছেন ভোটের পর তার সঙ্গে তাঁদের অঙ্কে বেশ খানিকটা ফারাক লক্ষ্যণীয়।
বিজেপি আশা করছে, তাঁরা এবার কলকাতা পুরসভায় জিততে না পারলেও বিরোধী আসনে বসা নিশ্চিত। সমীক্ষার তুলনায় অনেক বেশি আসনে জিতেই তারা কলকাতা পুরসভোর বিরোধী আসনে বসবে। বিজেপি নেতাদের কথায়, ভোট যদি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হত, তাহলে অন্যরকম ফল হত। কিন্তু তৃণমূল পুলিশকে নিজেদের দলদাসে পরিণত করে ভোট করেছে। তাই যা ফল হওয়ার তাই হবে।
রাত পোহালেই ভোট গণনা। কলকাতা পুরসভা দখল কার হাতে আসবে তা নিশ্চিত করে জানা হয়ে যাবে। কে কত আসন পাবে, তাও নিশ্চিত হয়ে যাবে দুপুরের মধ্যেই। তার আগে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে অন্তত ১৩৪ আসনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম-সহ বামফ্রন্টও স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূলের জয়ের কথা। বিরোধীরা এখন চাইছে দুই অঙ্কের আসন সংখ্যায় পৌঁছতে। বিজেপির আশা তাঁরা দুই অঙ্ক ছোবেন এবং একুশের বিধানসভার থেকে ভালো ফল করবেন।
এবিপি-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, তৃণমূল ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়ে কলকাতা পুরসভায় ক্ষমতায় ফিরেত চলেছে। বিজেপি পেতে চলেছে ২৮ শতাংশ ভোট। বামেরা পাঁচ ও সাত শতাংশ ভোট পেতে পারে। কিন্তু এই বুথ ফেরত সমীক্ষার প্রতিফল আদৌ বাস্তবে ঘটবে কি না, তা বোঝা যাবে ইভিএম খোলার পর। তাই ছোট লালবাড়ির দখলের লড়াইয়ের কী ফল হতে পারে তার জন্য আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।