তৃণমূলের ১৯ নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় ইডি বাদ! আবেদন ডিভিশন বেঞ্চে
শাসকদলের ১৯ জন নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি বিষয়ক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা থেকে ইডিকে বাদ দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়।
শাসকদলের ১৯ জন নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি বিষয়ক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের তরফে এই মামলা থেকে ইডিকে বাদ দেওয়ার আবেদনও জানানো হল। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার আবেদনের শুনানিক সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বেড়েছে বহুগুণ। এই সংক্রান্ত মামলায় তৃণমূলের ১৯ জন নেতা ও মন্ত্রীর সম্পত্তি আদালতের নির্দেশেই ইডির স্ক্যানারে উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা দাবি করেন, শুধু তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা নন, এই তালিকায় রয়েছে বিরোধী অনেক নেতা-নেত্রীও। একইসঙ্গে তাঁরা দাবি করেন স্বাভাবিক নিয়মেই এই সম্পত্তি বেড়েছে। আবার অনেকে কমেছেও। কেন বেড়েছে সম্পত্তির পরিমাণ তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়।
এবার সম্পত্তি বৃদ্ধি বিষয়ক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেস আবেদন করে এই মামলা থেকে ইডিকে বাদ দেওয়া হোক। তৃণমূলের পক্ষে আবেদনে বলা হয়, বাদ দিতে হবে ইডিকে। ইডিকে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানালেন মন্ত্রী অরূপ রায়, ফিরহাদ হাকিম এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
কীভাবে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি এত ব্যপক হারে বাড়ছে? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জনৈক মামলাকারী। তিনি আবেদনে বলেছিলেন, ২০১১ সাল থেকে নেতা-মন্ত্রীদের নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী বেশ কয়েকগুণ বেড়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি। সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা করা হয়েছে তাতে নাম আছে, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, স্বর্ণকমল সাহা, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, অরূপ রায়, অমিত মিত্র, অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্ত, শিউলি সাহা, আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
২০১৭ সালে দায়ের হওয়া এই মামলায় আগেই যুক্ত ছিল আয়কর দফতর। দু'দিন আগে এই মামলার শুনানিতে ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট-কে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে নেতা-মন্ত্রীরা বলেন, "রোজগার করাটা কোন অন্যায় নয়। আমরা রোজগার করেছি, কোন দুর্নীতি নয়"।
এদিন অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায়, আদালতের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়। তাঁরা ইডি-কে বাদ দেওয়ার আর্জি জানান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান তাঁরা। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা কটাক্ষ করেন, "আমরা শুধুই রোজগার করেছি", অথচ সেটা খতিয়ে দেখতে ইডি ঢুকলেই আপত্তি। শাসকদল তৃণমূলের ১৯ জন নেতার সম্পত্তি এত ব্যাপক হারে বাড়ল কী করে? তা জানতে ইডিকেও দরকার।