পঞ্চায়েতের সন্ত্রাসের গরমে কালবৈশাখীর স্বস্তির প্রলেপ, তাপমাত্রা কমলেও স্থায়ী হবে না
শুক্রবার বিকেলে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুত সহ ঝড় ও তারপরেই প্রবল বৃষ্টি আছড়ে পড়ে।
পঞ্চায়েতের সন্ত্রাসের গরম আবহে যেন ঠান্ডার প্রলেপ ছুঁইয়ে দিয়ে গেল কালবৈশাখী। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় কালবৈশাখি আছড়ে পড়ে। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় অন্তত ৫৬ কিলোমিটার। ঝড়ের পরই শুরু হয়ে যায় প্রবল বৃষ্টি। গরমের অসহনীয়তায় এই বৃষ্টি যেন ছিল আরামের প্রলেপ।
৫৬ কিমি বেগে ঝড়ে কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে ত্রস্ত-বিধ্বস্ত হয়ে যায় কলকাতা ও তার উপনগরী বিধাননগর। জায়গায় জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে ব্যহত হয় যান চলাচল। বহু স্থানে বিদ্যুতের ট্রান্সমিটারে বাজ পড়ে বিদ্যুত পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাওড়াতে একটি পুরনো বাড়ি ধসে পড়ে। এতে কয়েকজন আহত হন।
কলকাতার একদম কেন্দ্রস্থলে এসএন ব্যানার্জী রোডেও গাছ উপড়ে পড়ে। এর ফলে শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী এস এন ব্যানার্জী রোড বন্ধ হয়ে যায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য। মেয়ো রোডের সংযোগ স্থলেও গাছ পড়ার খবর মিলেছে। বেশ কিছু স্থানে গাছের তলায় চাপা পড়ে যায় প্রাইভেট কার। এতে বেশ কয়েকজন অল্পবিস্তর আহতও হন। গাছ পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার আরও বেশ কয়েকটি এলাকাতেও। বিধাননগরেও বেশ কিছু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা আটকে যায়।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হওয়াতেই, এই ঝড় ও বৃষ্টি। এতে গরমের অসহনীয়তা কিছুটা কমলেও তা স্থায়ী হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কারণ বাতাসে এই মুহূর্তে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাস্প রয়েছে। এর ফলে আপেক্ষিক আদ্রতার হারও অনেক বেশি। তবে মাঝেমধ্যেই এরকম বজ্রগর্ভ মেঘের প্রভাবে ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না আবহাওয়া দপ্তর।