মোদী বিরোধিতায় তবে কি মিলছে বাংলা-তেলাঙ্গানা! দিদির ফোন পেয়ে কী বললেন কেসিআর
তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও-কে ফোন করে তৃতীয় ফ্রন্ট বা জাতীয় ফ্রন্ট গঠনে নিজের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন মমতা।
ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ে বাংলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামনাসামনি যদিও বিষয়টিকে গুরুত্বর দিচ্ছেন না। তবে প্রকাশ্যে এটা বারবার স্বীকার করেছেন যে বিজেপিকে আটকাতে হবে। আর সেটা সকলে একত্রিত হয়েই করতে হবে। আগামী লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে সেই লক্ষ্যেই যে মমতা এগোবেন তাও বহুবার বলেছেন তিনি।
উত্তর-পূর্বের ভোটের ফলাফলের পর বিজেপি-কংগ্রেস বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে তৎপরতা শুরু করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সরাসরি তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও-কে ফোন করে তৃতীয় ফ্রন্ট বা জাতীয় ফ্রন্ট গঠনে নিজের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন মমতা।
কেসি আর জানিয়েছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, মহারাষ্ট্রের ছয় সাংসদ ও জন সেনা প্রধান পবন কল্যাণের ফোন পেয়েছেন। সকলেই বিকল্প ফ্রন্ট গড়ার ক্ষেত্রে কেসি আরকে সমর্থন করেছেন।
এর পাশাপাশি পাশের রাজ্যের সরকারি দল এম চন্দ্রবাবু নাইড়ুর অদৃশ্য সমর্থনও রয়েছে। চন্দ্রবাবু এনডিএ-তে থাকলেও বারবার রাজ্যের দাবিদাওয়া না মানা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন। আগামী লোকসভা ভোটের আগে তিনি এনডিএ ছেড়েও দিতে পারেন। কেসি আর-এর দাবিদাওয়াকেও ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়েছে টিডিপি।
এই অবস্থায় মমতার ফোন পেয়ে আত্মবিশ্বাসী শোনাচ্ছে কেসি আর-এর গলা। নিজেই জানিয়েছেন, দুপুরে দিদি ফোন করেছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কেন্দ্রে পরিবর্তনের জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। আগামিদিনে এই জোটের ভাবনা কতদূর ডালপালা মেলে সেটাই এখন দেখার।