শেষ দফায় ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী! বিশেষ নজর দুই জায়গায়
সপ্তম দফায় ১০০ শতাংশ বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।
সপ্তম দফায় ১০০ শতাংশ বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। তবে ষষ্ঠদফায় তাঁর নির্দেশিকায় কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কুইক রেসপন্স টিমের মাথায় কেন্দ্রীয় ফোর্সের কমান্ডান্ট থাকলেই, এলাকার রাস্তা চেনাতে একজন করে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল রাখা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
সপ্তম দফায় রাজ্যের ছটি বিধানসভার উপনির্বাচন ছাড়াও ৯ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হতে যাচ্ছে ১৯ মে। এই দফায় ৬৭৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কমিশনের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনা আর বসিরহাটে নজরদারির কথা বলা হয়েছে। নজরদাবি থাকবে ডায়মন্ডহারবারেও। এই কেন্দ্রে প্রচারে গিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম। মুর্শিদাবাদের কান্দি ও নওদায় নির্বাচন হবে ২০ মে।
নির্বাচন কমিশনের তরফে ১৯ মের নির্বাচনে কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী, তার তালিকা দেখে নেওয়া যাক একনজরে
- বারাসত পুলিশ জেলা: ১৫১২ বুথের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ৫৫ কোম্পানি
- ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট: ১৫৪৮ বুথের জন্য ৪৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
- বারুইপুর পুলিশ জেলা: ২৮৮২ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ১০৩ কোম্পানি
- বসিরহাট পুলিশ জেলা: ১৬৭৫ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ৭০ কোম্পানি
- বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট: ৮০২ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ২৭ কোম্পানি
- ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলা: ২২৭৩ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ৮০ কোম্পানি
- সুন্দরবন পুলিশ জেলা: ১৬০৮ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ৭৮ কোম্পানি
- কলকাতা পুলিশ: ৪৭৫৫ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ১৪৬ কোম্পানি
- ভাটপাড়ায় উপনির্বাচন: ৩৪৩ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ১৬ কোম্পানি
- দার্জিলিং উপনির্বাচন: ১৪১ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ৬ কোম্পানি
- হবিবপুর উপনির্বাচন: ২৪০ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ১১ কোম্পানি
- ইসলামপুর উপনির্বাচন: ৩০৮ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ১৫ কোম্পানি
- কান্দি ও নওদা উপনির্বাচন: ৪৩৩ বুথ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ১৮ কোম্পানি
ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের দিন কিউআরটির মুভমেন্ট নিয়ে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ এসেছে। পরে জানা যায়, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের নির্দেশ মানতে আপত্তি থাকলেও তা মানতে বাধ্য হয়েছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল কিউআরটির নেতৃত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কমান্ডান্ট। এবার সেই দলে একজন করে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলকে যুক্ত করা হচ্ছে।