বাড়ি থাকলেও হিসাবই নেই পুরসভায়! অর্পিতার কেলেঙ্কারিতে তদন্তের নির্দেশ ফিরহাদের
ক্রমশ চাপ বাড়ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের! ইতিমধ্যে ইডির তল্লাশিতে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি একাধিক সংস্থারও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যা সবটাই ভুয়ো বলে দাবি করা হচ্ছে তদন্তকারীদের। আর এই বি
ক্রমশ চাপ বাড়ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের! ইতিমধ্যে ইডির তল্লাশিতে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি একাধিক সংস্থারও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যা সবটাই ভুয়ো বলে দাবি করা হচ্ছে তদন্তকারীদের। আর এই বিতর্কের মধ্যেই আরও এক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে।
কসবার রাজডাঙা এলাকায় অর্পিতা'র একটি প্রোডাকশন হাউসের খোঁজ পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। যে বাড়িতে এই প্রোডাকশন হাউস খোলা হয়েছে সেখানে বিতর্ক বলে জানা যাচ্ছে। বাড়িটির নাম ইচ্ছে। এই নামে প্রোডাকশন হাউস। আর তা সামনে আসার পরেই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।
যে জমিতে অইবাড়ি তৈরি করা হয়েছে সেখানে বিপুল অঙ্কের কর জমা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর তা ফাঁকি দিয়েই রমরমিয়ে সমস্ত কেলেঙ্কারি চলেছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভার হিসাবে এই বাড়ির নাকি কোনও অস্বস্তি নেই বলেও খবর। কিন্তু বিশাল বাড়ি বানিয়ে সমস্ত কেলেঙ্কারি চলছিল বলে অভিযোগ।
আর তা সামনে আসার পরেই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি দোষ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন মেয়র। এমনকি বাড়িটি পুরসভা নিয়ে নিতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি তাঁর। জানা যাচ্ছে, কসবা এলাকার তিনটি ব্লকের মধ্যে ১১ নম্বিওর প্লটে 'ইচ্ছে' নামে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। ২ কাটারও বেশি জমিতে ওই বাড়ি তৈরি করা হয়।
এছাড়াও ওই এলাকা অর্থাৎ কসবা রাজডাঙা ৯৫ মেইন রোডে আরও দুটি প্লট আছে। ১০ এবং ১২। আর তিনট প্লটে বিশাল অঙ্কের কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি যা লক্ষাধিক টাকার বেশি বলেও জানা যাচ্ছে। আর তা সামনে আসার পরেই কার্যত নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা।
ইতিমধ্যে এই বাড়িতে হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ওই বাড়িতে বিভিন্ন ধরণের শুটিংয়ের কাজ হতো। এমনকি প্রোডাকশন হাউসের কাজ চলত বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন প্রশিক্ষণের কাজ চলত বলেও জানা যাচ্ছে। প্রায় ২০১৩ সাল থেকে এই কাজ চলছিল বলে দাবি।
শুধু তাই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বাড়ি প্রভাব খাটিয়ে তৈরি করেছিলেন বলেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতার নাম থাকলে পরে পার্থবাবু তাঁর নাম সরিয়ে দেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিশয়ে ইডির তরফে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি।